এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুলিশ-বিজেপি খন্ডযুদ্ধে তুলকালাম কলকাতার রাজপথে! একযোগে গ্রেপ্তার বিজেপির জোড়া সাংসদ!

পুলিশ-বিজেপি খন্ডযুদ্ধে তুলকালাম কলকাতার রাজপথে! একযোগে গ্রেপ্তার বিজেপির জোড়া সাংসদ!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ চালিয়ে যাচ্ছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি করোনার  মৃতদেহ পোড়ানো নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। বেশ কিছুদিন আগে গড়িয়া শ্মশানে কিছু গলিত মৃতদেহকে শিক দিয়ে টেনে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়। এই দৃশ্য মুহুর্তের মধ্যে হয়ে যায় ভাইরাল এবং তার পরেই শাসকদলের বিরুদ্ধে একজোট হয় সমস্ত বিরোধীদল এবং প্রতিবাদে ফেটে পড়ে।

ইতিমধ্যে এই নিয়ে রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে রাজ্য সরকারের তীব্র টুইট যুদ্ধ দেখেছে রাজ্যবাসী। কিন্তু গড়িয়া কাণ্ডের শেষ হয়নি এখনো বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আর সেকথাই প্রমাণ হল এদিন। এদিন গড়িয়া শ্মশান কাণ্ডের প্রতিবাদে বিজেপির যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খাঁ এবং ব্যারাকপুরের সংসদ অর্জুন সিং একযোগে বাঁশদ্রোণি থানাতে স্মারকলিপি জমা দিতে যান কিন্তু থানায় আসার আগেই তাঁদেরকে আটকে দেওয়া হয় বলে জানা গেছে।

এর ফলে বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ শুরু হয়। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন সৌমিত্র খাঁ এবং অর্জুন সিং। এর প্রতিবাদে আবার বিজেপি মহিলা মোর্চা কর্মী ও সমর্থকরা পুলিশের গাড়ির ওপর আক্রমণ করে ভাঙচুর চালায় বলে জানা গেছে। গড়িয়া শ্মশান কাণ্ডের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে গন্ডগোল। গলিত মৃতদেহগুলি যে করোনা রোগীদের ছিল সে কথা দাবি করে স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও কলকাতা পুরসভা থেকে স্বরাষ্ট্র দপ্তর প্রত্যেকেই এক কথয় স্বীকার করে নিয়েছে, গড়িয়া শ্মশানে যে দেহগুলি দেখা গেছে, সেগুলি করোনা আক্রান্তের নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও ওই ভাইরাল ভিডিওকে অবলম্বন করে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছে গেরুয়া শিবির বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলেই বুধবার বাঁশদ্রোণি থানায় সৌমিত্র খাঁ এবং অর্জুন সিং সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীদের একযোগে স্মারকলিপি জমা করতে যাওয়ার পরিকল্পনা বলে মত সবার। যদিও পথে পুলিশ আটকে দেয় বলে অভিযোগ করেন তাঁরা এবং তারপরেই পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি এবং বিবাদ শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক সৌরভ সিকদার জানিয়েছেন, “পুলিশ যুব মোর্চার কর্মীদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করেছে। পাঁচজন থানায় স্মারকলিপি জমা দিতে যাবে বলেই জানিয়েছিলাম আমরা। সেকথাও শোনেনি পুলিশ।”

অন্যদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে পাল্টা জানানো হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে যেভাবে জমায়েত করে থানায় যাবার পরিকল্পনা করেছিল বিজেপি কর্মী সমর্থকরা সে পরিকল্পনা তে বাধা দেওয়ার জন্যই পুলিশের এই উদ্যোগ। কিন্তু পুলিশের বাধাকে অশান্তির নাম দিয়ে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত করছে বিজেপি শিবির বলে দাবি করছে প্রশাসন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, গড়িয়া শ্মশান কান্ড ঘিরে যেভাবে শাসক শিবিরকে ক্রমাগত কোণঠাসা করে চলেছে রাজ্যের গেরুয়া শিবির, তা কিন্তু যথেষ্ট চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে ঘাসফুল শিবিরে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই রাজ্যের বিজেপি শিবির রীতিমতো তৎপর হয়ে উঠেছে বর্তমানে। আর সেইকারণেই তাঁদের সমস্ত পরিকল্পনাতেই ফুটে উঠছে শাসক শিবিরকে প্রত্যাঘাত। আপাতত করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যের প্রশাসন। এই অবস্থায় পাল্টা গেরুয়া শিবিরসহ অন্যান্য বিরোধীদলের আঘাত সামলাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে রাজ্যের শাসক শিবির, সেদিকে চোখ থাকবে সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!