এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিজেপির মিছিল আটকাতে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে 144 ধারা জারি, গেরুয়া শিবির স্থগিত করল কর্মসূচি

বিজেপির মিছিল আটকাতে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে 144 ধারা জারি, গেরুয়া শিবির স্থগিত করল কর্মসূচি


 

তৃণমূল এবং পুলিশ এক হয়ে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করছে বলে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন বাংলার বিরোধী দল বিজেপির নেতারা। লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই কোচবিহার জেলায় তৃণমূল বনাম বিজেপির রাজনৈতিক সংঘর্ষ চরম আকার ধারণ করলে সেখানে পুলিশ প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাকে দায়ী করেই সরব হতে দেখা যায় বিজেপিকে। তবে শারদ উৎসবের সময় সেই গন্ডগোল কিছুটা বন্ধ থাকলেও গত বৃহস্পতিবার শীতলকুচিতে ফের রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তাল হয় এলাকা।

আর এবার এই রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনায় বৃহস্পতিবারের গন্ডগোলের প্রভাব শুক্রবার বিজেপির সংকল্প যাত্রায় লক্ষ্য করা গেল। কথা ছিল, গান্ধী সংকল্প যাত্রার অঙ্গ হিসেবে বিজেপি মাথাভাঙ্গা 1 ব্লকের কেদারহাট থেকে শীতলকুচি পদযাত্রা করবে। কিন্তু বিজেপির এই কর্মসূচি যাতে শীতলকুচিতে না আসতে পারে, তার জন্য এদিন আগেভাগেই সেই এলাকায় 144 ধারা জারি করে দেয় প্রশাসন। যার ফলে সেখানে গান্ধীর সংকল্প যাত্রা নিয়ে যাওয়ার কর্মসূচি বাতিল করে দেয় গেরুয়া শিবির।

এদিকে বিজেপির একাংশ গোটা ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের চক্রান্তের অভিযোগ তুললেও পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বৃহস্পতিবার শীতলকুচিতে যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে, শুক্রবার বিজেপি এই সংকল্প যাত্রা করলে আবারও ফের উত্তেজনা ছড়াতে পারে।

তাই এদিন এই এলাকায় 144 ধারা জারি করে এলাকাকে শান্ত রাখা হয়েছে‌। কিন্তু বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, যেখানে বিজেপি বিরোধী দল হিসেবে প্রায়শই পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব হয়, সেখানে কেন তারা এই পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি নিয়েও তাদের কর্মসূচি বাতিল করলেন! তাহলে কি এর পেছনে তাদের ভয়-ভীতি কাজ করছে!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহারের প্রাক্তন জেলা বিজেপির সভাপতি হেমচন্দ্র বর্মণ বলেন, “আমরা চাই না কোনো অশান্তি হোক তাই শীতলকুচিতে এদিন আমাদের গান্ধী সংকল্প যাত্রা থাকলেও তা স্থগিত রাখা হয়। পরে কোনো একদিন মিছিল করা হবে।” তবে হেমচন্দ্রবাবু এই কথা বললেও পাল্টা বিজেপির এই কর্মসূচি স্থগিত করা নিয়ে “তাদের জনসমর্থন নেই” বলে দাবি করতে শুরু করেছে তৃণমূল।

এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল নেতা সাহের আলি মিয়া বলেন, “বৃহস্পতিবার বিজেপি এলাকায় অশান্তি পাকিয়ে আমাদের কর্মীদের কুপিয়েছে। গ্রাম অশান্ত করার চেষ্টা করছে। প্রশাসন তাই 144 ধারা জারি করেছে। ওরা লোক আনতে পারবে না জেনেই কর্মসূচি স্থগিত রাখে।”

একইভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয়ে এই ব্যাপারে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মন বলেন, “শীতলকুচিতে বিজেপি আমাদের দুজন কর্মীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে। তারা এদিন অশান্তি পাকাতে শীতলকুচিতে মিছিল করার প্রস্তুতি নিয়েছিল। প্রশাসন 144 ধারা জারি করায় ওরা এদিকে আসতে সাহস পায়নি।”

তাহলে কি তৃণমূলের এই কথাই সত্যি! প্রশাসনের 144 ধারা জারি অপেক্ষা নিজেদের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ঠিক মত লোক না করাতেই কি বিজেপি এই কর্মসূচি বাতিল করতে বাধ্য হল! এখন এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!