এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে ১০১ দিন পরে শাহিনবাগের ধর্নামঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ

করোনা থেকে দেশবাসীকে বাঁচাতে ১০১ দিন পরে শাহিনবাগের ধর্নামঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল পুলিশ


করোনা সতর্কতায় ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারতে নয় নয় করেও করোনা সংক্রমণ ব্যাপকহারে ছড়ানোর প্রস্তুতিতে। এই মুহূর্তে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশ, করোনার মাহামারী রুখতে আটকাতেই হবে জনসমাবেশ। তাই এবার শাহীনবাগের জনসমাবেশ রুখতে দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে অ্যাকশন নেওয়া হলো। সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর মধ্যে অন্যতম হলো শাহীনবাগ আন্দোলন। কেন্দ্রীয় সরকারের সিএএ সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় শাহীনবাগে এক বিশাল জনসমাবেশের মাধ্যমে ধর্না শুরু হয়।

কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। করোনা সংক্রমণ এড়াতে এবার শাহীনবাগের ধর্নামঞ্চ পুলিশ ভেঙে দিতে বাধ্য হলো। সূত্রের খবর, দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে করোনার সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে বারংবার শাহীনবাগের আন্দোলনকারীদের অনুরোধ করা হয়েছিল ধর্না তুলে দেওয়ার। কিন্তু আন্দোলনকারীরা কোন কথাই শোনেননি। উপরন্তু দিল্লিতে শুরু হয়েছে সংক্রমণ এড়াতে কার্ফু। আর তাই এবার দিল্লি পুলিশ অন্য কোন উপায় না দেখে শাহীনবাগের আন্দোলনস্থল জোরপূর্বক খালি করে দিলো।

এদিন সকালে দিল্লি পুলিশের এক বিরাট বাহিনী শাহীনবাগে পৌঁছায় এবং আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এ প্রসঙ্গে পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা বলেন, ‘আন্দোলনকারীদের বার বার বলা হয়েছিল, আপনারা জায়গা খালি করে দিন। কিন্তু তাঁরা রাজি হননি। বাধ্য হয়ে সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ বলপ্রয়োগে তাঁদের সরিয়ে দিতে হয়েছে।’ একইসঙ্গে উক্ত অফিসার আরও জানিয়েছেন, ধর্না মঞ্চ থেকে ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। সূত্রের খবর, শাহীনবাগের সাথে সাথে উত্তর পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদ ও তুর্কমান গেটের কাছ থেকেও ধর্না তুলে দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

করোনা সংক্রমণ এড়াতে তাঁরা সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশ। এর আগে দিল্লি পুলিশের সতর্কবার্তার উত্তরে শাহীনবাগের আন্দোলনকারীরা জানিয়েছিল, তাঁরা করোনা সংক্রমণ আটকাতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করেছেন। তার সাথে এও জানিয়েছিল, তাঁরা আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাবেন। শনিবার ইন্ডিয়া ইসলামিক সেন্টারের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের এক জরুরী বৈঠক হয়। যদিও সেই বৈঠকেই লক্ষ্য করা যায়, আন্দোলনকারীরা নিজেরাই দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে।

একদল চাইছিল শাহীনবাগের আন্দোলন এই পরিস্থিতিতে তুলে দেওয়া হোক। অন্যদল এই প্রস্তাবে রাজি ছিল না। তার জেরেই গোলমাল শুরু হয়। জানা গেছে, জনতা কার্ফুর দিনেও শাহীনবাগের ধর্নাস্থলে পৌঁছান 5 থেকে 6 জন মহিলা। সেসময় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। শাহীনবাগ এর ধর্নার পাশেই পুলিশের ব্যারিকেড রাখা থাকে। সেই ব্যারিকেড লক্ষ্য করে পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। উল্লেখ্য, এদিন জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে 7 নম্বর গেটের কাছেও বোমা ছোঁড়া হয়েছিল বলে খবর।

যদিও এই ঘটনায় কেউ হতাহত বা আহত হয়নি বলে পিলিশি সূত্রে জানা গেছে। দেশজুড়ে নভেল করোনা ভাইরাস যেভাবে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, সে জায়গায় দাঁড়িয়ে শাহীনবাগের আন্দোলন ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে আর কালক্ষেপ করল না দিল্লী পুলিশ। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতির মধ্যেও বিরোধীরা মন্তব্য করছে, কেন্দ্রীয় সরকার এরকম একটি সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। তবে, এই মুহূর্তে শাহীনবাগের আন্দোলনের পক্ষে দাঁড়িয়েও কেউ কোন মতামত দেবে না বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ দলমত নির্বিশেষে এখন সবাই করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে তৎপর হয়েছে। এবার দেখার, করোনা আতঙ্ক শেষের পর নতুন করে আবার শাহীনবাগের আন্দোলন দানা বাঁধে কিনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!