পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠানে গরহাজির একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা! বাড়ছে জল্পনা! কলকাতা রাজ্য September 9, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন তৃণমূল কংগ্রেস থেকে শুরু করে বিজেপি প্রতিটা রাজনৈতিক দল ভাঙনের আশঙ্কা করছে। যেভাবে এক দল থেকে অপর দলে নেতারা পা বাড়াচ্ছেন, তাতে প্রত্যেকের মধ্যেই আশা আশঙ্কা রয়েছে। আর এমত পরিস্থিতিতে যদি কোনো দলের কোনো নেতা দলীয় অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে অন্যান্য অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হন, তাহলে সেই জল্পনা আরও বাড়তে শুরু করে। আর এবার সেরকমই এক দৃশ্য দেখা গেল পুরাতন মালদহ এলাকায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার পুরাতন মালদা পৌরসভার উদ্যোগে পুলিশ দিবসের আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে সেই পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা বর্তমান কো-অর্ডিনেটরদের অনেককেই অনুপস্থিত থাকতে দেখা গেল। যা নিয়ে এখন তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রাক্তন কাউন্সিলার হলেও, সরকারের নির্দেশে নিজের নিজের দায়িত্ব সামলাবেন সেই সমস্ত বিদায়ী কাউন্সিলররাই। তাই তাদেরকে কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে। কিন্তু সেই পদে থেকেও আমন্ত্রিত হওয়া সত্ত্বেও কেন তারা সেখানে উপস্থিত থাকলেন না, তাই দিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। জানা গেছে, এদিনের এই অনুষ্ঠানে পৌরসভার প্রশাসক কার্তিক ঘোষের কিছু ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন কাউন্সিলার উপস্থিত ছিলেন। বাকি কাউকেই তেমন ভাবে দেখা যায়নি। কিন্তু শাসকদলের রয়েছে তৃণমূল। সেক্ষেত্রে তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলরও কেন এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেন না? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে পৌরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলার বৈশিষ্ট্য ত্রিবেদী বলেন, “পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণে যেতে পারিনি। শুনেছি সেটা পৌরসভার আয়োজিত অনুষ্ঠান। সেখানে নামমাত্র কাউন্সিলর গিয়েছিলেন। বাকিরা কেন যায়নি, সেটা আমার জানা নেই। আমার ঘনিষ্ঠ বা অনুগামী বলে কিছু নেই। সব কাউন্সিলর আমার চোখে সমান। তবে সরকারি অনুষ্ঠানে পৌরসভার কর্মী অথবা পদাধিকারীরা থাকতে পারেন। সেই জায়গায় নেতাকর্মীরা কেন হাজির হলেন, সেটা তারাই বলতে পারবেন।” এদিকে এই ব্যাপারে শহর তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নবরঞ্জন সিনহা বলেন, “পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছি। অনুষ্ঠান নিয়ে কে কি বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি গিয়েছিলাম।” একইভাবে এই অনুষ্ঠানে সকলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর প্রশাসক কার্তিক ঘোষ। তবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অবশ্য পুলিশ দিবসের এই অনুষ্ঠানে ব্যাপক রাজনীতি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে আরএসপি নেতা সর্বানন্দ পান্ডে বলেন, “তৃণমূলের রাজত্বে কোনটা সরকারি অনুষ্ঠান আর কোনটা দলীয় অনুষ্ঠান, তা বোঝা মুশকিল। পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠানেও সেই একই ঘটনা ঘটেছে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, পুলিশ দিবসের অনুষ্ঠানে তৃণমূলের অন্দরের কোন্দল যে অনেকটাই প্রকাশ্যে চলে এল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর ফলে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ গোষ্ঠী কোন্দল আবার বাইরে বেরিয়ে এল বলে মনে করছেন একাংশ। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -