এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > তৃণমূল নেতাকে প্রতারণা করে পুলিশের জালে ভুয়ো ইডি অফিসার, চাঞ্চল্য রাজ্যে !

তৃণমূল নেতাকে প্রতারণা করে পুলিশের জালে ভুয়ো ইডি অফিসার, চাঞ্চল্য রাজ্যে !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ঠিক যেন সিনেমার গল্প। অক্ষয় কুমার অভিনীত “special 26” ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল ভুয়ো সিবিআই আফিসারের ভূমিকায়। যেখানে তিনি রাজ্যের অনৈতিক কাজকর্মে লিপ্ত নেতা মন্ত্রীদের থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন সুকৌশলে। তবে এখানে ঘটনা হচ্ছে ভুয়ো ইডি আফিসারকে নিয়ে। যে কিনা নিজের স্ত্রীকে সঙ্গী করে চালিয়ে যাচ্ছিলেন প্রতারণার কাজ। অবশেষে যার খবর পেয়েছে পুলিশ।

জানা গেছে, চন্দন রায় নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে ভুয়ো ইডি অফিসার সেজে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করার অভিযোগ উঠছিল অনেকদিন থেকেই। বেশ কয়েকজনকে ঠকিয়ে তিনি লক্ষাধিক টাকা হাতিয়েও নিয়েছিলেন বলে জানা যায়। আর তাঁর এই প্রতারণার শিকার হন শহরের এক যুব তৃণমূল নেতা। তাঁর কাছ থেকেও ওই ব্যক্তি দু’লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানা গেছে। প্রথমে বুঝতে না পারলেও পরবর্তীকালে প্রতারিত হয়েছেন সেটা বুঝতে পেরে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই নেতা। জানা গেছে, চন্দনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। কয়েক মাস ধরে তল্লাশি করার পরে অবশেষে ওই ব্যক্তি পুলিশের জালে ধরা পড়েছে বলেও জানা গেছে।

তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩রা জুলাই রাত ৮টা নাগাদ মোবাইলে একটি মেসেজ দেখে চমকে ওঠেন ইংরেজবাজার শহর যুব তৃণমূল সভাপতি শুভ্রদীপ দাস ওরফে বাপি। সেই মেসেজে ইডি-র অ্যাসিস্টান্ট ব্যুরো চিফের পরিচয় দিয়ে রঞ্জন বোস নামের এক ব্যক্তি তাঁকে মেসেজ পাঠান বলে জানান তিনি। তারপর তিনি ফোনও করেন। আর সেখানেই শুভ্রদীপকে ইডি অফিসে তিনি তলব করেন বলে জানা যায়। এরপরে কলকাতায় ইডি-র সদর দফতরে যান তিনি। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন রঞ্জন বোস। শুভ্রদীপবাবুর কথায়, একাধিক আর্থিক কেলেঙ্কারিতে তাঁকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে তাঁর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা দাবি করেন রঞ্জন বোস নামে ওই ব্যক্তি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, প্রথমে ওই টাকা তিনি না দিলেও দিনের পর দিন তাঁকে ভয় দেখানো হয় বলেই অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। তারপরে ভয় পেয়ে ২০১৯ সালের ৯ই জুলাই দু’লাখ টাকা তিনি শেষমেষ ওই আধিকারিককে দেন। তারপরে আর ফোন বা মেসেজ আসেনি বলেই তাঁর কাছ থেকে জানা গেছে। কিন্তু এই ঘটনার ছ’মাস পরেই হঠাৎ একদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় রঞ্জনবাবুর ছবি দেখেন শুভ্রদীপ বাবু। আর সেখানে রঞ্জন বাবুর নামের জায়গায় চন্দন রায় লেখা দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। এরপরই তিনি ইডি দফতরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন যে রঞ্জন বোস নামে আদৌ কোনও আধিকারিকই নেই। তারপরেই তিনি যে প্রতারিত হয়েছেন সেকথা বুঝতে পারেন।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আরও খোঁজ খবর করে তিনি জানতে পারেন চন্দন রায় নামে ওই ব্যক্তি আসলে দক্ষিণ দমদম এলাকার বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী আশা দাস মালদার বাঙালটুলি লেনের বাসিন্দা। এরপরেই প্রতারণার অভিযোগ পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। শুভ্রদীপের ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। এরপরই সামনে আসে যে মালদা থেকে স্ত্রী আশা দাসকে নিয়ে এমনই প্রতারণার চক্র চালাতেন চন্দন রায় নামে ওই ব্যক্তি।

বস্তুত, এদের লক্ষ্যই ছিল বিভিন্ন ব্যক্তিকে চিহ্নিত করে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে টাকা আত্মসাত্‍ করা। যদিও ইংরেজবাজার থানার পুলিশ প্রতারককে খুঁজলেও এতদিন তারা পুলিশের নাগালের বাইরেই ছিল। কিন্তু এরপর গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রবিবার দুপুরবেলা একটি হোটেল বিশাল পুলিশ বাহিনী দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। এরপর হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে পুলিশ ওই হোটেলে গা ঢাকা দিয়ে থাকা ওই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে বলে জানা গেছে। তবে জানা গেছে, আপাতত অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত রয়েছে কিনা বা এর পিছনে অন্য কোনও চক্র রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!