এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পুলিশি হেফাজতে বিজেপি কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু, হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগে বাড়ল অস্বস্তি?

পুলিশি হেফাজতে বিজেপি কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু, হাইকোর্টের নির্দেশে পুজোর আগে বাড়ল অস্বস্তি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয়েছিল ইটাহারের বিজেপি কর্মী অনুপ রায়ের। আর এবার তৃতীয় বারের জন্য সেই অনুপ রায়ের দেহ ময়নাতদন্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। জানা গেছে, আদালতের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, অনুপ রায় খুনে অভিযুক্ত রায়গঞ্জ থানার পুলিস আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট করে তার দ্রুত কোর্টে জমা দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। পাশাপাশি এই ঘটনার সময়কালের সিসিটিভি ফুটেজ আগামী এক মাসের মধ্যে আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই শারদোৎসবের আগে আদালতের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে এই ধরনের নির্দেশ দেওয়ায় কিছুটা হলেও বিড়ম্বনায় পড়ল রাজ্য প্রশাসন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2 সেপ্টেম্বর ইটাহারের নন্দনগ্রামের বাড়ি থেকে বিনা নোটিশে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ বিজেপি কর্মী অনুপ রায়কে নিয়ে যায়। আর এরপরই তাকে থানায় পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

পরবর্তীতে রাতে রায়গঞ্জ মেডিকেল হাসপাতালের মর্গে সেই মৃত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্ত হলে আদালতের নির্দেশে আবার 4 সেপ্টেম্বর তার ময়নাতদন্ত করা হয়। কিন্তু সেই ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত তার পরিবারকে দেওয়া হয়নি। যার ফলে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। আর এবার আবার নতুন করে সেই মৃত বিজেপি কর্মীর ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন আদালত আবার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেওয়ায় কিছুটা হলেও খুশি উত্তর দিনাজপুর জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী বলেন, “ইটাহারের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অনুপ রায়কে বেধড়ক পিটিয়ে গুলি করে খুন করা হয়। কিন্তু অভিযুক্ত পুলিশদের কোনো শাস্তি হয়নি। ছেলের মৃত্যুর তদন্তে সুবিচারের আশায় যুবকের মা কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। তবে এবার আদালত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়ায় আশা করছি, ন্যায়বিচার পাব। হাইকোর্টের কাছ থেকে সেই বিশ্বাস আছে।”

একাংশ বলছেন, যদি এই ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোনো দুর্বলতা উঠে আসে, তাহলে সরকার ক্রমশ চাপে পড়তে পারে। যার ফলে ভারতীয় জনতা পার্টি আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আগে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অস্বস্তিতে ফেলে দিতে পারে তৃণমূলকে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!