প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুন, সন্ত্রাসের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। আর এবার এই সমস্ত অভিযোগের পাশাপাশি জোর করে মৃত ছেলের বাবাকে দিয়ে তৃণমূল করিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। যে ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। বলা বাহুল্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে মল্লারপুর থানার পুলিশ হেফাজতে থাকা এক নাবালক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

যেখানে বিজেপির পক্ষ থেকে মৃতের পরিবারকে তাদের সমর্থক এবং তাকে পিটিয়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ জানানো হয়। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হলেও, মৃতের বাবা তৃণমূল করেন বলে দাবি করায় এখন ব্যাপক চাপে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার পরিপ্রেক্ষিতে সেই মৃত বাবাকে দিয়ে চাপ সৃষ্টি করে এই কথা বলা হয়েছে বলে সরব হলেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ।

সূত্রের খবর, এদিন সেই মৃত নাবালকের বাবা বলেন, “আমার মৃত ছেলেকে নিয়ে বিজেপি রাজনীতি করুক, চাই না। আমি তৃণমূল সমর্থক। ছেলের মৃত্যুর পর থেকেই দল আমার পাশে রয়েছে। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছে।” এদিকে মৃতের বাবা একথা বললেও, তা মানতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হয়েছেন বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ। যেখানে চাপ দিয়ে সেই ব্যক্তিকে দিয়ে তৃণমূল করার কথা বলিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সৌমিত্র খাঁ বলেন, “মৃতের পরিবার আমাদের দলের সমর্থক। পুলিশ ও অনুব্রত মণ্ডল বন্দুকের নলের সামনে নাবালকের বাবাকে তৃণমূল দল করি বলতে বাধ্য করেছে। ঘটনার সিবিআই তদন্ত চাই। প্রয়োজনে ওসির শাস্তির দাবিতে রাষ্ট্রপতি ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হব। এছাড়াও এই ঘটনার প্রতিবাদে আগামী 2, 3 এবং 4 নভেম্বর রাজ্যের প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে। 4 নভেম্বর কলকাতাতেও মিছিল হবে।”

তবে সৌমিত্রবাবু একথা বললেও, তাকে মানতে নারাজ বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “এক, দুই এবং তিন নয়ার যেমন দাম নেই, তেমনই বিজেপি নেতার কথার দাম নেই। তার সম্পর্কে আমি কিছু বলতে রাজি নই। ওই পরিবার তৃণমূল সমর্থক। দল পরিবারের পাশে সব সময় রয়েছে।” তবে যে যাই বলুন না কেন, প্রথমদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে এই পরিবারকে নিজেদের সমর্থক বলে দাবি করা হলেও, পরবর্তীতে যেভাবে সেই মৃত নাবালকের বাবা নিজেদেরকে তৃণমূল সমর্থক বলে দাবি করলেন, তাতে ভারতীয় জনতা পার্টি অনেকটাই চাপে পড়ে গেল। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে জোর করে তাদের পরিবারকে “তৃণমূল করি” বলে চাপ দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে এই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে মল্লারপুর এলাকায়। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।