এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুলিশ পদ নিয়ে বড়সড় ঘোষণা মমতা সরকারের জেনে নিন বিস্তারিত

পুলিশ পদ নিয়ে বড়সড় ঘোষণা মমতা সরকারের জেনে নিন বিস্তারিত


রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিকবার পুলিশের স্থায়ী পদে নিয়োগ না করে সিভিক ভলেন্টিয়ার গ্রামীণ পুলিশ এবং ইত্যাদি অস্থায়ী পুলিশ কর্মীদেরকে দিয়ে কাজ চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে রিক্রুটমেন্ট না হওয়ায় পুলিশ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে বেশ অসুবিধায় পড়তে হয়েছে কলকাতা পুলিশকে।

সেক্ষেত্রে থানা অথবা ফাঁড়িতে নিত্যনৈমিত্তিক টহলদারি থেকে শুরু করে ব্যাহত হয়েছে হয়েছে নিরাপত্তাজনিত আরো অনেক কাজ। এবার তাই কলকাতা পুলিশে আট হাজার নতুন পুলিশ কর্মী নেওয়া হবে। এক্ষেত্রে নতুন বছরের শুরুতেই এই নিয়োগ প্রক্রিয়া আরম্ভ হবে বলে খবর পুলিশ সূত্রে।

বিগত দিনে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চলাকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা করার জন্য অনেকগুলি নতুন নতুন কমিশনারেট তৈরি হয়েছে। রাজ্যে বহু জেলার বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রশাসনের কাজের সুবিধার জন্য নতুন নতুন থানা তৈরি হয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠান তৈরি হলেও সেই অনুপাতে পুলিশকর্মী না থাকায় প্রশাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পুলিশকে।

বস্তুত, কোনো কারণে যদি বড় রকমের কোন ঘটনা ঘটে, তাহলে একটি জেলার পুলিশকর্মী দিয়ে কিছুতেই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে পাশের থানার পুলিশ বাহিনী এনে কাজ চালাতে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাম সরকারের সময় থেকেই বড় পরিমাণে কনস্টেবল পদে নিয়োগ না হওয়ার কারণে শূন্যপদের সংখ্যা দিন প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। আবার প্রতিবছরই দেখা যাচ্ছে, বয়স জনিত কারণে একটা বড় সংখ্যক পুলিশ অংশগ্রহণ করছেন। তাই তাদের রিক্ত জায়গাতেও শূন্যতা দেখা যাচ্ছে। রাজ্য সরকারের পুলিশ পদে স্থায়ী পুলিশ কর্মী নিয়োগ না হওয়ার প্রসঙ্গে ইতিপূর্বে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির রোষের শিকার হতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে।

সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, অতি শীঘ্রই শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে নতুন পুলিশকর্মী। তাই এবার রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, দ্রুততার সহকারে রাজ্য পুলিশের বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই কনস্টেবল পদ এবং সাব-ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ করার প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়েছে। এভাবেই চলতে থাকলে সুপ্রিমকোর্টের রাজ্যকে দেওয়ার সময়সীমার মধ্যেই নিয়োগের কাজ শেষ হয়ে যাবে।

এখনও পর্যন্ত 24000 পুলিসকর্মীর পদ ফাঁকা রয়েছে বলে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, এই 24 হাজার পুলিশ কর্মীর মধ্যে বেশিরভাগ পুলিশ কনস্টেবল পদ। তাই নতুন বছরের শুরুতেই পুলিশ কনস্টেবল পদে বেশি করে নিয়োগের প্রক্রিয়া চালাতে চায় রাজ্য সরকার। কারণ যেভাবে উত্তরোত্তর পুলিশ বাহিনীতে শূন্যতা বাড়ছে, তাতে করে আগামী দিনে রাজ্যের বিভিন্ন নির্বাচন থেকে শুরু করে অন্যান্য পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হিমশিম খেতে হতে পারে রাজ্য পুলিশকে।

তাই পুলিশকর্তারা ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আগামী দুই হাজার কুড়ি সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যেই ব্যাপক পরিমাণে কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে। আগামী বছর 2021 সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের দিক থেকে রীতিমতো তৎপর থাকার প্রয়োজন শক্তিশালী হতে হবে রাজ্য পুলিশকে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের কনস্টেবল সহ অন্যান্য পদে নিয়োগ না হওয়াতে একদিকে যেমন অসুবিধার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে, অন্যদিকে তেমনই এক্ষেত্রে যোগ্য অনেক বেকার পদপ্রার্থী রীতিমতো বঞ্চিত হয়েছে। কারণ একটি নির্দিষ্ট বছরের পরে পুলিশের ক্ষেত্রে আর আবেদন করা যায় না। আর শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি শারীরিক যোগ্যতা পুলিশ নিয়োগের ক্ষেত্রে আবশ্যক।

তাই বাংলার মাঠে ময়দানে অনেক জায়গাতেই আগামীদিনে রাজ্য পুলিশের অংশ হওয়ার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে দেখা যায় বিভিন্ন যুবক-যুবতীদেরকে। তাই সরকার যদি সঠিক সময় নিয়োগ না করেন, তাহলে তাদের আশাও মাটি হয়ে যায়। তাই নতুন বছরের শুরুর দিকে সরকারের এই সিদ্ধান্ত আগামী দিনে প্রশাসন পরিচালনা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে অন্যান্য দিকেও উপকারী সিদ্ধান্ত হিসেবে গৃহীত হবে বলে মনে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!