পুলিশ দিয়েও আটকানো গেল না পার্শ্বশিক্ষকদের! আদালতের রায়ে জোড়া ধাক্কা রাজ্য সরকারের কলকাতা রাজ্য November 9, 2019 ফের বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য সরকার। এবার প্যারাটিচারদের নিয়ে হাইকোর্টের জোড়া ধাক্কা খেল রাজ্য। পুলিশ প্রশাসনের অস্বস্তি বাড়িয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ উজ্জীবীত করল প্যারাটিচারদের একাংশকে। সূত্রের খবর, এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক বিকাশভবনের অদূরে 11 নভেম্বর থেকে টানা সাতদিন পর্যন্ত শিক্ষক আন্দোলন করতে পারবেন বলে জানিয়ে দেন। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানান তিনি। অন্যদিকে 2009 সালের 26 শে ফেব্রুয়ারির নির্দেশিকা মতই প্যারাটিচারদের কাজ করাতে হবে বলে এদিন জানিয়ে দিয়েছেন বিচারপতিরা। প্রসঙ্গত, প্যারাটিচারদের সরকারি নির্দেশিকা মত কাজ না করিয়ে নিয়মিত শিক্ষকদের মত কাজ করানোর অভিযোগে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়। এদিন সেই মামলার রায়দান করেন বিচারপতি থোট্টাথিল বি নায়ার রাধাকৃষ্নন এবং অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। আর সেখানেই গত 2009 সালের 26 শে ফেব্রুয়ারির নির্দেশিকা মতই প্যারা টিচারদের কাজ করাতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয় বিচারপতিদের তরফে। আর দুদিক থেকে রাজ্য সরকার অত্যন্ত ধাক্কা খাওয়ায় এখন প্রবল চাপে রয়েছে তারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, যে সমস্ত উদ্দেশ্য নিয়ে প্যারাটিচারদের নিয়োগ করা হয়েছিল, তা অনুসরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন বর্ধমানের জামালপুরের বনবিবিতালা হায়ার সেকেন্ডারী স্কুলের শিক্ষক রাজীব সাহা। তিনি বলেন, “পঞ্চম বা তার পরের শ্রেণীগুলোতে পড়াশোনায় পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীরা গাইডলাইন অনুযায়ী তাদের সাহায্য থেকে বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছেন। ফলে উঁচু ক্লাসে গিয়ে সেই পড়ুয়ারা পরিস্থিতির সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না। পড়াশুনোর সার্বিক মান ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।” আর এরপরই এই ব্যাপারে একটি জনস্বার্থ মামলা করে প্যারা টিচারদের যাতে সরকারি গাইড লাইনের বাইরে কাজ করানো না হয়, তার জন্য আবেদন করেন সেই শিক্ষক। এদিন সেই দাবিকেই মান্যতা দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিকে সমকাজে সমবেতন, মাতৃত্বকালীন এবং চাইল্ড কেয়ার লিভের দাবিতে প্যারা টিচাররা যে আন্দোলন করতে শুরু করেছিলেন, এদিন সেই আন্দোলন একটি নতুন মোড় নিয়েছে বলে দাবি বিশ্লেষকদের। এতদিন বিকাশ ভবনের অদূরে এই ধরনা আন্দোলন করার জন্য তারা অনুমতি না পেলেও আদালতের পক্ষ থেকে এদিন সেই অনুমতি দেওয়া হলে আন্দোলনকারীরা কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে পান। এদিকে আন্দোলনকারীদের পক্ষে হাইকোর্টের রায় চলে গেলে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য সরকার। আর এরপরই তারা প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানানোর আবেদন জানায় বলে খবর। তারপরই লিখিত আবেদন করা হলে রাজ্যের এই আবেদন বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়ে দেয় সেই ডিভিশন বেঞ্চ। সব মিলিয়ে সরকারকে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে ফেলে কলকাতা হাইকোর্টের আন্দোলনকারী প্যারাটিচারদের পক্ষে এই রায় ভবিষ্যতে কোন দিকে এগোয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -