বিজেপির ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে কি দিশেহারা রাজ্যের পুলিশ? আটকাতে মরিয়া হয়ে নিল কোন পদক্ষেপ? উত্তরবঙ্গ বিজেপি রাজনীতি রাজ্য August 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ৫ ই আগস্ট বুধবারের দিনটি ছিল অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভূমিপূজনের দিন। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে রাম মন্দিরের ভিত্তি নির্মাণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সারাদেশে এইদিনটি বিশেষভাবে উদযাপিত ও পালিত হলেও পশ্চিমবঙ্গে এদিন রাজ্যজুড়ে লকডাউন ডাকে রাজ্য সরকার। কিছু হিন্দু সংগঠন ও রাজ্য বিজেপি দিনটিকে লকডাউনের আওতামুক্ত করার দাবি জানালেও, সরকার নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকে। শেষপর্যন্ত, রাজ্য সরকারকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ জানিয়েই সেদিনটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য বিজেপি। সংবাদসূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার শিলিগুলিতে রাজ্য সরকারের ডাকা লকডাউনকে একপ্রকার বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠি প্রদর্শন করেই সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শহর জুড়ে চলে কখনো হেঁটে, কখনো বাইকে চেপে, কখনো মিছিল করে, কখনো বা স্লোগান দিয়ে রামচন্দ্রকে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় শিলিগুড়ি পুলিশকে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সারা শহরে টহল দিয়ে তারপর তাঁদের ধরে থানায় এনেও রেহাই মেলেনা পুলিশের। ‘জয় শ্রী রাম’ ধ্বনিতে থানা কাঁপিয়ে তোলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। হাজার অনুরোধ -উপরোধে ব্যর্থ হয়ে শেষ পুলিশ শেষ পর্যন্ত মাইকে চালিয়ে দেয় করোনা সচেতনতার রেকর্ড। আর এতেই শান্ত হন শেষপর্যন্ত তাঁরা বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। কানে তালা ধরে যাওয়ার জোগাড় হতে, দুহাতে কান চেপে শেষ পর্যন্ত ধ্বনি দেওয়া বন্ধ করেন বিজেপির সদস্যরা। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, থানার মধ্যে যদি ক্রমাগত এরূপ ধর্মীয় গ্লোগান চলতে থাকতো, তবে জনমানসে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারতো, তাই তাঁরা এমন একটি অভিনব পন্থা অবলম্বন করেছিলেন। আর তাদের এই প্রচেষ্টা শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি সফল বলা যেতে পারে। অন্যদিকে, গত বুধবার লকডাউনের নিয়মনীতি ভঙ্গের অভিযোগে বিজেপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী তথা সমর্থককে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ। তবে শিলিগুড়ি বিজেপির সহ সভাপতি তথা আইনজীবী অখিল বিশ্বাস জানিয়েছেন, ধৃত সকল সমর্থকই শেষপর্যন্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে গেছেন। তবে এবিষয়ে নিজেদের নিজেদের কোন মতামত ব্যক্ত করেনি শিলিগুড়ি পুলিশ। আপনার মতামত জানান -