এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভার আগে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বড়সড় পদক্ষেপ পুলিশের

বিধানসভার আগে ক্রমশ বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসা! পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বড়সড় পদক্ষেপ পুলিশের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –হাতে আর মাত্র কয়েকটা মাস রয়েছে। তার পরেই অনুষ্ঠিত হবে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু সেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হতে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা। তৃণমূল বনাম বিজেপির মাঝেমধ্যেই তৈরি হচ্ছে অশান্তি। যার ফলে ব্যাহত হচ্ছে জনজীবন। এভাবে চলতে থাকলে আগামী দিনে নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে চিন্তায় ঘুম উড়েছে পুলিশ প্রশাসনের। গত লোকসভা ভোটের পর থেকেই নন্দীগ্রাম, ময়না সহ বিভিন্ন এলাকায় শাসক-বিরোধী লড়াই প্রত্যক্ষ করা গিয়েছে। সম্প্রতি বোমার আঘাতে নিহত হয়েছেন ময়নার বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডল। যার ফলে রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এখন পুলিশ প্রশাসনের কাছে এলাকা শান্ত করাই প্রধান লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত, এলাকা অশান্ত হলে পুলিশের দিকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে যায় স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা। তাই ময়নাতেও যখন এরকম ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে, তখন পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সকলেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছিলেন। তৃণমূল থেকে বিজেপি প্রত্যেকেই পুলিশি দুর্বলতার কথা তুলে ধরেছিলেন। তাই এবার আইনের রক্ষক সেই পুলিশ প্রশাসন হিংসা বন্ধ করতে নিতে চলেছে পদক্ষেপ।

জানা গেছে, ইতিমধ্যেই হিংসা আটকাতে দুষ্কৃতীদের ডিজিটাল বায়োডাটা তৈরি করার কাজ করেছে জেলা প্রশাসন। শুধু তাই নয়, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এক কোম্পানি রাফকে জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাতে কোথাও অশান্তির খবর পেলেই সেখানে গিয়ে দ্রুত তা মোকাবিলা করা সম্ভব হয়। আর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এলাকাকে শান্ত রাখতে পুলিশ প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে এখন স্বাগত জানাচ্ছেন এলাকাবাসী। দলমত নির্বিশেষে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করা যদি শুরু করে পুলিশ প্রশাসন, তাহলে অপরাধপ্রবণতা অনেকটাই কমবে বলে মত বাসিন্দাদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই বর্তমান সময় পর্যন্ত ময়নার বাকচায় বেশ কিছু রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা ঘটেছে। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া জেলার সীমানা এলাকাগুলো থেকে অস্ত্র এবং বোমার আমদানি বন্ধ করতে এখন নজরদারি চালাতে শুরু করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয়, যে কোনো ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটলে যাতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা যায়, তার জন্য থানাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোনোমতেই যাতে এখন বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় রকমের কোনো অশান্তি জেলায় না ঘটে, তার জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই তৎপরতা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন এই প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল কুমার যাদব বলেন, “আমরা জেলায় পুলিশি তৎপরতা বাড়িয়েছি। ভোটের আগে যাতে কোনো ধরনের হিংসা না ঘটে, তার জন্য একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। অপরাধ দমনে সমস্ত থানাকে বিশেষ তৎপর হতে বলা হয়েছে। অপরাধ দমনের জন্য আমরা স্থানীয়ভাবে জনসংযোগের পাশাপাশি ডিজিটাল পদ্ধতির সাহায্য নিচ্ছি।” বিশেষজ্ঞদের মতে, জেলায় একের পর এক রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটার পর দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দল পুলিশ প্রশাসনের দুর্বলতার দিকটি তুলে ধরেছিলেন। যার জেরা ব্যাপক চাপে পড়ে ছিল পুলিশ প্রশাসন।

তাই এবার নিজেদের মত করে এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কোনো রাজনৈতিক রং না দেখে দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করার দিকেই উদ্যোগী হল পুলিশ। আর তাই থানাগুলোকে নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি ডিজিটাল প্লাটফর্মের উপর জোর দিয়ে অপরাধমূলক ঘটনা বন্ধ করতে তৎপরতা গ্রহণ করা হল। এখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ কতটা কার্যকরী হয়, পুলিশের পদক্ষেপে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা বন্ধ হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!