প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনায় বিপর্যস্ত গোটা দেশ। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রোধে কড়া নজরদারি চলছে। এরইমধ্যে পুলিশি খানাতল্লাশির মুখোমুখি হতে হল অতি পরিচিত বাহুবলি খ্যাত অভিনেত্রী রামাইয়া কৃষ্ণানকে। জানা গেছে তাঁর গাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৯৬ টি মদের বোতল। লকডাউনের শুরু থেকেই দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু এবং চেন্নাই-এ মদ ও মাদকদ্রব্য বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তবে সম্প্রতি তামিলনাড়ু স্টেট মার্কেটিং কর্পোরেশনের আউটলেট গুলিতে মাদক দ্রব্য বিক্রয় করা শুরু হয়েছে বলে খবর। কিন্তু চেন্নাইয়ে এখনো পর্যন্ত মদ বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। সূত্রের খবর অনেকেই চেন্নাইয়ের বিভিন্ন জেলা থেকে গিয়ে তামিলনাড়ুর মদ বিক্রয়ের আউটলেটগুলি থেকে মদ কিনে আনছেন। ফলে চেন্নাইয়ের বিভিন্ন রাস্তার মুখে চলছে পুলিশের খানাতল্লাশি। যাতে কোন মানুষ কোনভাবেই অন্য এলাকা থেকে গিয়ে মদ না নিয়ে আসতে পারে সেই জন্যই এই ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

কিন্তু এদিন ইস্ট কোস্ট রোডের উপর পুলিশের খানাতল্লাশি চলাকালীন তার সম্মুখীন বাহুবলীর অভিনেত্রীকেও হতে হয়। পুলিশ সূত্রে খবর তখনই তার গাড়ি থেকে প্রায় ৯৬ টি মদের বোতল উদ্ধার করা গেছে। এমনকি এর মধ্যে আটটি বোতল হার্ড লিকারের ছিল বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত করোনার প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে চেন্নাইতে লকডাউনের সময়সীমা বৃদ্ধি পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। আর তাই জনসাধারণ চেন্নাই থেকে তামিলনাড়ুতে গিয়ে যতটা সম্ভব মদ কিনে আনা চেষ্টা চালাচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

এদিকে গত ১১ ই জুন চেন্নাইয়ের মুথুকাড়ু চেকপোষ্টে মদের বোতল সহ ধরা পড়েন বাহুবলির শিবগামী ওরফে রামাইয়া কৃষ্ণান। যদিও পুলিশি চেকিংয়ের সময় তিনি গাড়িতেই ছিলেন। জানা গেছে ওই দিন তার গাড়ি চালককে কান্তাপুর থানায় নিয়ে আসা হয়। এরপর ব্যক্তিগত জামিনে তাকে ছাড়িয়েও নিয়ে যাওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও রামাইয়া কৃষ্ণন গাড়িতে মদ থাকার বিষয়ে কোন তথ্য জানেন কিনা সেটা এই মুহূর্তে পরিষ্কার নয়। জানা গেছে এ বিষয়ে অভিনেত্রী সরাসরি কোনো অভিমত পোষণ করেননি।