এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > পুলিশ-তৃণমূলকে একযোগে রুখে অনুব্রত-গড়ে বনধ করে দেখিয়ে দেওয়া গেল দাবি গেরুয়া শিবিরের!

পুলিশ-তৃণমূলকে একযোগে রুখে অনুব্রত-গড়ে বনধ করে দেখিয়ে দেওয়া গেল দাবি গেরুয়া শিবিরের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুলে মাঝেমধ্যেই সরব হতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। রাজ্যের অন্যান্য জেলায় বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ যত না করা হয়, তার থেকে অনেক বেশি করা হয় বীরভূম জেলায়।

গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গোটা রাজ্যের মধ্যে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর বীরভূম। এখানে অনুব্রত মন্ডলের রাজত্বে কেউ তাদের মনের কথা খুলে বলতে পারেন না। কিন্তু তৃণমূলের এহেন দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমে এবার 12 ঘন্টার বনধ ডেকে তা সফল করে তৃণমূলকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি।

জানা গেছে, বীরভূমের মল্লারপুরে বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন 12 ঘন্টার বনধ ডাকা হয়েছিল। আর সকাল থেকেই মল্লারপুর স্টেশন সংলগ্ন বাজার, দোকান সমস্ত কিছু বন্ধ থাকতে দেখা যায়। বনধের ফলে ব্যাপক প্রভাব পড়ে এলাকায়। আর বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটিতে বনধ ডাকা হলেও, সেই বনধে ব্যাপক প্রভাব পড়ায় বিজেপির প্রভাব যে বাড়তে শুরু করেছে, সেই ব্যাপারটিতে নিশ্চিত হতে শুরু করল রাজনৈতিক মহল।

জানা গেছে, এদিন দোকানপাট সচল রাখতে পুলিশের পক্ষ থেকে বেশ কিছু জায়গায় টহলদারি করা হয়েছিল। কিন্তু অনেক জায়গাতেই বিজেপি কর্মীরা বন্ধের সমর্থনে মিছিল বের করার সাথে সাথেই দোকান বন্ধ করে দেন ব্যবসায়ীরা। স্বাভাবিকভাবেই মল্লারপুরের মত জায়গায় বিজেপি এই বনধের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করলো বলেই দাবি করছে বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের মতে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ময়ুরেশ্বর 1 পঞ্চায়েত সমিতির মল্লারপুর 1 পঞ্চায়েতে জয় পায় ভারতীয় জনতা পার্টি। লোকসভা নির্বাচনেও এই ময়ুরেশ্বর বিধানসভায় তৃণমূলের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। তাই এদিন বনধেও ব্যাপক প্রভাব পড়ায় বিজেপির যে এখানে শক্তি বৃদ্ধি হচ্ছে, তা এককথায় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের দলীয় কর্মী সুশান্ত দেকে পুলিশ মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। তিনি পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে আছেন। আগামী 25 ডিসেম্বর পুলিশি হেফাজত শেষ হচ্ছে। আমরা চাই ওকে অবিলম্বে বিনাশর্তে মুক্তি দিতে হবে। তা না হলে 26 সেপ্টেম্বর থেকে মল্লারপুরে বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে ভারতীয় জনতা পার্টি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু বিজেপি তো বিরোধী দলে আছে। সেক্ষেত্রে তাদের ডাকা বনধেও যেভাবে প্রভাব পড়ল, তাতে তো অনুব্রত মণ্ডলের শক্ত ঘাঁটিতেও এবার চোখ রাঙাতে শুরু করল ভারতীয় জনতা পার্টি! তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য বিজেপির ডাকা বনধে কোনো সাড়া পড়েনি বলেই দাবি করা হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে ময়ূরেশ্বর 1 ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক অভিজিৎ রায় বলেন, “ব্যাংক রোড, স্টেশন এলাকায় অধিকাংশ দোকান খোলা ছিল। বিজেপির ডাকা বনধ সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বনধ সফল কিনা ব্যর্থ, তা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে এখন চরম তরজা তৈরি হয়েছে। তবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডলের শক্ত ঘাঁটিতে যেভাবে বিজেপি বনধ ডাকল এবং সেই বনধে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়তে দেখা গেল, তাতে একটা জিনিস পরিষ্কার যে, রাজ্যের অন্যান্য জেলার মত বীরভূম জেলাতেও নিজেদের শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে পদ্ম শিবির। আর তাই দলীয় কর্মী গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রীতিমত রাস্তায় নেমে বনধ সফল করতে দেখা গেল বিজেপি নেতা কর্মীদের। আর সেই বনধে সাড়া দিতে দেখা গেল জনতা জনার্দনকে।

একাংশ বলছেন, অতীতে বাম সরকারের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস যখন নানা বিষয়ে এইরকম বনধের রাস্তায় হাঁটত, তখন সাধারণ মানুষ তাতে সারা দিত। আর এখন তৃণমূলের আমলে যখন নানা অনিয়মের বিরুদ্ধে এই বনধের ডাক দিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি, তখন সেইখানেও সারা পড়তে দেখা যাচ্ছে। যার ফলে শাসকদলের অস্বস্তি কিছুটা হলেও বাড়ছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!