এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > পুলিশি জেরার মুখে হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক, চিন্তায় নেতা কর্মীরা!

পুলিশি জেরার মুখে হেভিওয়েট বিজেপি বিধায়ক, চিন্তায় নেতা কর্মীরা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  কিছুদিন আগেই একটি ভুয়ো খবর পোস্ট করার অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে। আর তার পরেই এবার পুলিশি জেরার মুখে পড়লেন বিজেপির রাজ্য মহিলা মোর্চাল সভানেত্রী তথা আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। স্বভাবতই বিজেপি বিধায়ককে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এভাবে জেরা করার কারণে কিছুটা হলেও চিন্তায় পড়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের নেতা কর্মীরা।

বলা বাহুল্য, মাঝেমধ্যেই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসাপরায়ন আচরণ করার অভিযোগ তোলে ভারতীয় জনতা পার্টি। এক্ষেত্রে মিথ্যে মামলা করে বিজেপি নেতা কর্মীদের ফাঁসানোরও অভিযোগ করা হয়। তবে এবার একটি ভুয়ো পোস্টের পরিপ্রেক্ষিতে অগ্নিমিত্রা পলের মত হেভিওয়েট বিজেপি নেত্রী পুলিশি জেরার মুখে পড়ার কারণে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন আগে নিজের টুইটারে বীরভূম জেলার নানুর এলাকায় মহিলারা শারীরিকভাবে নিগ্রহ এবং ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। আর তারপরেই তার এই বক্তব্য নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয় প্রশ্ন। পরবর্তীতে পুলিশের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, অগ্নিমিত্রাদেবী যে ধরনের কথা বলেছেন তার কোনো বাস্তবতা নেই। আর এরপরই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়ে পরে। অবশেষে তাকে বীরভূম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়। আর সেই নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতেই আজ শুক্রবার বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তরে গিয়ে হাজিরা দিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। জানা গিয়েছে, প্রায় আধাঘন্টা তাকে জেরা করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু কেন তিনি একটি ভুয়ো খবর টুইট করলেন? এদিন বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তর থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি রাজ্য মহিলা মোর্চা সভানেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি বলেন, “যেহেতু আমি মহিলা মোর্চার সভানেত্রী, তাই বীরভূম থেকে অনেক মহিলা আমাকে ফোন করে তাদের ওপর শারীরিক নিগ্রহ এবং ধর্ষণের কথা জানিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতেই আমি টুইট করেছিলাম। বিষয়টি ইতিমধ্যেই মানবাধিকার কমিশন এবং জাতীয় মহিলা কমিশন বিচার করে দেখছে।”

একাংশ বলছেন, বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের ওপর কোনো সময় ভরসা রাখা হয়নি। এক্ষেত্রে বারবার বিজেপি নেতা, কর্মীদের হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে একটি ট্যুইটের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী জেরার মুখে পড়ার পরেই নানা মহলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!