এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > পুলিশি হেফাজতে গুলি করেই কি হত্যা করা হয়েছে বিজেপি কর্মীকে? ২য় বার ময়নাতদন্তের পর বড় অভিযোগ

পুলিশি হেফাজতে গুলি করেই কি হত্যা করা হয়েছে বিজেপি কর্মীকে? ২য় বার ময়নাতদন্তের পর বড় অভিযোগ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গেরুয়া শিবিরের বহুদিনের অভিযোগ রাজ্যজুড়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে শাসকদলের কার্যকালে। বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ করে গেরুয়া শিবির তাঁদের কথা দাবি করে। তবে ইদানিংকালে বিজেপির বেশ কয়েকজন নেতার পরপর অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় বিজেপির শিবিরের পক্ষ থেকে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে শাসকদলের প্রতি। সম্প্রতি রায়গঞ্জে মৃত্যু হয়েছে অনুপ রায় নামের এক বিজেপি কর্মীর। থানায় মৃত্যু হওয়ার ফলে গেরুয়া শিবির অভিযোগ জানিয়েছে, পুলিশের নির্মম অত্যাচারের ফলে মারা গেছে বিজেপি কর্মী অনুপ রায়।

গেরুয়া শিবিরের অভিযোগের ভিত্তিতে উত্তর দিনাজপুর জেলা আদালতের নির্দেশে শনিবার নতুন করে মৃত বিজেপি কর্মীর দেহের ময়নাতদন্ত হলো। এই ময়নাতদন্তের কার্যকালে উপস্থিত ছিলেন ম্যাজিস্ট্রেটসহ মৃতের দাদা এবং বিজেপির আইনজীবীসহ দলের তিন প্রতিনিধি। আড়াই ঘন্টা তদন্তপ্রক্রিয়া চলার পর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয় তাঁর পরিবারের হাতে। অন্যদিকে ময়নাতদন্তে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা প্রদীপ সরকার। তিনি দাবি করেছেন অনুপ রায়কে লোহার রড কিংবা ভারী কিছু জিনিস দিয়ে মারধর করা হয়।

শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে অনুপ রায়কে এলোপাথাড়ি গুলি করা হয়। যেসব জায়গায় গুলি করা হয়েছে ময়নাতদন্তে সেই সব জায়গায় সেলাইয়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে তিনি জানান। অন্যদিকে রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জে সিং জানিয়েছেন, ডাকাতির ঘটনায় মাস্টারমাইন্ড ছিল মৃত অনুপ রায়। ওই ডাকাতির ঘটনায় ধৃত অন্য তিনজনের কাছে খবর পেয়ে অনুপ রায়কে গ্রেফতার করা হয় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই তাঁকে ইটাহার থেকে রায়গঞ্জ থানায় আনা হয়েছিল। কিন্তু তার পরেই তাঁর মৃত্যু হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে মৃত অনুপ রায়ের মা গীতা রানী রায় রায়গঞ্জ থানার 5 পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। অন্যদিকে বিজেপি জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীও এদিন অনুপ রায়ের মৃত্যু যে পুলিশের গুলি চালানোর ফলে হয়েছে তার নিশ্চিত দাবি করেন। প্রসঙ্গত, গত বুধবার থেকে এই ঘটনা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। বুধবার বেলা সাড়ে 11 টায় দুর্লভপুর পঞ্চায়েতের নন্দনগ্রাম থেকে 22 বছরের অনুপ রায়কে পুলিশ তুলে নিয়ে যায় রায়গঞ্জ থানায়।

সেদিনই সন্ধ্যেবেলায় অনুপ রায়ের মৃত্যু হয় বলে জানা যায়। এরপর বুধবারই রাত সাড়ে আটটার সময় অনুপের ময়নাতদন্ত করা হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু মৃতের মা এবং বিজেপির তরফ থেকে পুনরায় ময়না তদন্তের দাবি জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দিন রাত্রিবেলা ইটাহার থানা এবং রায়গঞ্জ পুলিশ সুপারকে রায়গঞ্জ থানার পাঁচ পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ করা হয়। এরপর রায়গঞ্জের জেলা মুখ্য বিচারবিভাগীয় পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন বলে জানা গেছে।

আপাতত অনুপ রায় মৃত্যু ঘিরে দুর্লভপুর পঞ্চায়েতের নন্দনগ্রামের পরিবেশ রীতিমতো উত্তপ্ত বলে খবর। অনুপ রায়ের মৃত্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। অন্যদিকে একের পর এক বিজেপি নেতা কর্মীর মৃত্যুতে গেরুয়া শিবির প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে রাজ্য প্রশাসনের প্রতি। তবে অনুপ রায়ের মৃত্যুতে খোদ পুলিশ অফিসাররা যেভাবে জড়িয়ে পড়েছেন, তাতে ঘটনা সম্পূর্ণ অন্য দিকে মোড় নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত এই ঘটনার দিকে নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!