এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজনৈতিক ‘চাপে’ পুলিশের মৃত্যুতে পুলিশেরই ‘দায়সারা তদন্ত’! ক্ষুব্ধ বিচারপতি

রাজনৈতিক ‘চাপে’ পুলিশের মৃত্যুতে পুলিশেরই ‘দায়সারা তদন্ত’! ক্ষুব্ধ বিচারপতি


বহু বিতর্কিত মামলার অবসান হল এদিন। যথাযথ তথ্যপ্রমাণের অভাবে দুবরাজপুর থানার আসআই অমিত চক্রবর্তী খুনের ঘটনায় বিচারাধীন ১৮ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করে দিল সিউড়ি আদালত। দায়সারা ভাবে তদন্ত হয়েছে,অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য নেই। শুধুমাত্র সন্দেহের বশেই অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছিল এমনটাই রায়দানের দিন বক্তব্য ছিল বিচারক সৌমেন্দ্র চন্দ্র পালের। এবং এবং এই মামলায় পুলিশের নিষ্ক্রিয় তদন্ত প্রক্রিয়া দেখে অসন্তোষও প্রকাশ করেন তিনি।

পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন মৃত অমিত চক্রবর্তীর স্ত্রী পুতুল সরকার চক্রবর্তীও। তাঁর বক্তব্য,”ডিপার্টমেন্ট চায়নি অমিত বেঁচে উঠুক। রাজনৈতিক চাপে নিজের ডিপার্টমেন্টই সঠিক তদন্ত করল না।” তবে এই ব্যাপারে পুলিস সুপার কুণাল আগরওয়ালের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেল না। তবে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে পুতুল দেবীর অভিযোগের জেরে ফের হইচই পড়ে গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাজনৈতিক চাপেই কি একজন পুলিশের মৃত্যুতে দায়সারাভাবে তদন্ত সারলো পুলিশ? এই প্রশ্নকে ঘিরে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

পুলিশি সূত্রের খবর,২০১৪ সালের ৪ জুন দুবরাজপুর থানায় আওলিয়া গোপালপুরে তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হন এসআই অমিত চক্রবর্তী। ৫১ দিন মরণ বাঁচনের লড়াই-এর পর হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনার অব্যবহতি পরই দুবরাজপুর থানার তৎকালীন ওসি ত্রিদিব প্রামানিক দুবরাজপুর পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তৃণমূলের শেখ আলিম, সিপিএম নেতা সৈয়দ মকতুল হোসেন সহ মোট ৪৮ জন অনুগামীর নামে মামলা করেন।

সেই মামলার উপর ভিত্তি করেই বেশ কয়েকজনকে দফায় দফায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ঘটনার ৮৯ দিনের মাথায় ৫০ জনের নামে চার্জশিট জমা দিলেও বিতর্ক থামে না। প্রথমে তৃণমূল নেতা শেখ আলিমকে গ্রেপ্তার করার সাহস না দেখালেও পরে তাকে লক আপে পুড়তে বাধ্য হয় পুলিশ। এরপর এক সময়ে সিউড়ি আদালতের তৎকালীন সরকারি আইনজীবী রঞ্জিত গঙ্গোপাধ্যায় পুলিস খুনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলাও প্রত্যাহারের আবেদন জানালে যা নিয়ে বিতর্ক আরো মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

এরপর পুতুলদেবী তাঁর স্বামীর হত্যা মামলায় সরকারি আইনজীবী ও পুলিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আইনজীবীর মাধ্যমে সরাসরি মামলায় অংশ নেন। তারপর সে মামলা থেকে স্বেচ্ছায় সরে যান রঞ্জিতবাবু। পুলিস শেষ পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেপ্তার করতে সমর্থ হয়। তার মধ্যে একজন নাবালক হওয়ায় তাকে জুভেনাইল আদালতে পাঠানো হয় এবং বাকিদের মধ্যে দু’জন জামিন পায়।

অন্যদের জেল হেফাজতে রেখেই চলতে থাকে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া। জামিনে মুক্ত সিপিএম নেতা সৈয়দ মকতুল হোসেন ও জেলে বিচারাধীন এক বন্দির মৃত্যু হয়ও হয় ইতিমধ্যে। উল্লেখ্য, মামলার মোট ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮জনই ছিলেন পুলিস কর্মী। তাঁদের প্রত্যেকেই অভিযুক্তদের আদালতে চিনতে অস্বীকার করায় মামলা প্রাসঙ্গিকতা হারায়। তারপর এদিন সমস্ত বিতর্কের ইতি টেনে তথ্য প্রমানের অভাবের যুক্তিকে সামনে রেখে অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করার রায় দেন বিচারক। মুক্তি পেয়ে মিডিয়ার সামনে নিজেদের খুশি ব্যক্ত করেন শেখ মুস্তফা, শেখ লালু,তৃণমূল নেতা শেখ আলিমরা।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

পুলিশ তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছিল,এমনটাই সাফাইতে জানান তাঁরা। তথ্য প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেলেন অভিযুক্তরা,এমনটাই জানালেন সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায়। অন্যদিকে রঞ্জিত বাবু জানালেন,পুলিশ ঠিকঠাক তদন্ত করছে না দেখে আগেই মামলা প্রত্যাহার করার দাবী জানিয়েছিলেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!