এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ধর্মের ভিত্তিতে কোনওদিন রাজনীতি করিনি, করবও না – যত কুৎসা করবেন, শনির দশা তত্ত্ব দীর্ঘায়িত হবে: অভিষেক

ধর্মের ভিত্তিতে কোনওদিন রাজনীতি করিনি, করবও না – যত কুৎসা করবেন, শনির দশা তত্ত্ব দীর্ঘায়িত হবে: অভিষেক


বিজেপির তরফে যখন এই বাংলার উপর বাড়তি নজর দিয়ে বাংলার 42 টি আসনের মধ্যে 22 থেকে 23 টি আসন নিজেদের দখলে নেওয়ার জন্য রাজ্য নেতৃত্বকে টার্গেট বেঁধে দিয়েছে গেরুয়া শিবির, ঠিক তখনই বাংলার 42 টি আসনের মধ্যে 42 টি আসনই নিজেদের দখলে রাখতে হবে বলে জেলা নেতৃত্বকে নির্দেশ দিয়েছেন তৃনমূলের রাজ্য নেতৃত্ব।

আর বিজেপি যখন এই বাংলাকে পাখির চোখ করেছে, ঠিক তখনই প্রতিটি নির্বাচনী সভা থেকেই সেই বিজেপির উদ্দেশ্যে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানাচ্ছেন রাজ্যের শাসক দলের নেতা নেত্রীরা। নাম নিয়ে অথবা নাম না করে অনেক সভা থেকে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর বিরুদ্ধে জোর কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আর এরই মাঝে এবার মঙ্গলবার খড়গপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত হাতিহলকায় মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মানস ভূঁইয়ার সমর্থনে জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিনের এই সভায় অভিষেকবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুঁইয়া, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা, জেলা তৃণমূল সভাপতি অজিত মাইতি সহ অন্যান্যরা। আর এখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে নরেন্দ্র মোদিকে রাহু, শনি, কেতু বলে উল্লেখ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আপনাদের একটি ভোট 23 তারিখ নরেন্দ্র মোদি সরকারের মাজা, কোমর দুটোই ভেঙে দেবে। চার দফায় 18 টি আসনে ভোট হয়ে গিয়েছে, আমরা 18 টি আসন পেয়ে গিয়েছি। 42 এ 42 শুধু সময়ের অপেক্ষা। প্রথম দফায় হাত, দ্বিতীয় দফায় পা, তৃতীয় দফায় কোমর, চতুর্থ দফায় মাজা, পঞ্চম দফায় ঘাড়, ষষ্ঠ দফায় মাথা ভাঙ্গব, আর সপ্তম দফায় ওদের পরলোকগমন আমরা সম্পন্ন করব।”

অন্যদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় মেরুকরণের অভিযোগ তুলে তৃণমূল কংগ্রেস কখনও ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করে না, আর ভবিষ্যতেও করবে না বলে এদিন জানিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে এর আগে মেদিনীপুরে যখন প্রধানমন্ত্রী এসেছিলেন, তখন প্যান্ডেল ভেঙে পড়েছিল। তাই নরেন্দ্র মোদী বাংলার শনি, রাহু এবং কেতু। উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যত কুৎসা করবেন, তত শনির দশা দীর্ঘায়িত হবে বলেও নিজের বক্তব্যের মাধ্যমে এদিন গেরুয়া শিবিরকে বিধেছেন তৃনমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি।

পাশাপাশি বিগত বাম আমলের কথা তুলে ধরে সুশান্ত ঘোষ, লক্ষ্মণ শেঠ, শুকুর আলী, অনুজ পান্ডে, ডালিম ফান্ডের নাম করে নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সুশান্ত ঘোষ, লক্ষণ শেঠরা যখন বন্দুকের নল দিয়ে ভোট করত, তখন মোদি, অমিতবাবুদের খুঁজে পাওয়া যায়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। বাংলাকে তোমরা এখনও বুঝতে পারনি, চিনতে পারনি। চোর, চিটিংবাজ, দাঙ্গাবাজরা মোদিকে চাইছেন। তাই আপনারা উন্নয়নে নাকি দাঙ্গায় থাকবেন সেটা আপনাদেরকেই ঠিক করতে হবে।”

পাশাপাশি এদিনের সভা থেকে ফের মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মানুষ ভূঁইয়াকে জিতিয়ে নরেন্দ্র মোদির বিদায়যাত্রা সুনিশ্চিত করার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে এবার মেদিনীপুরের তৃণমূল প্রার্থী মানস ভুইয়ার সমর্থনে সভায় এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!