বড়মা আর নেই – কিন্তু তাঁর নশ্বর দেহকে ঘিরে রাজনীতি অব্যাহত ঠাকুরবাড়িতে, চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ মতুয়াভক্তরা নদীয়া-২৪ পরগনা রাজ্য March 7, 2019 সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের ভোট কার দখলে থাকবে তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে তীব্র টানাপোড়েন চলেছে। আর যার কেন্দ্রবিন্দুতেই ছিল মতুয়াদের প্রিয় বড়মা বীনাপানি দেবী। কিন্তু সকলের সেই প্রিয় বড়মা মঙ্গলবার রাত ৮ টা ৫২ মিনিটে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করলেও এবার রাজনীতিতে দ্বিধাবিভক্ত মতুয়ার ঠাকুরবাড়িতে ঠিক কবে বড়মার শেষকৃত্য হবে তা নিয়ে তৈরি হল জটিলতা। জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০ টা ৫০ মিনিটের সময় তাঁর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে আসলেও একদিকে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর ও তাঁর পুত্র শান্তনু ঠাকুর এবং অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের মধ্যে বড়মা বীণাপাণি দেবীর সৎকার নিয়ে চলল তীব্র টানাপোড়েন। বিজেপির শান্তনু ঠাকুর জানিয়ে দেন, বড়মার শেষকৃত্য বৃহস্পতিবার বিকেল চারটের সময় সম্পন্ন হবে। সাংবাদিকদের সামনে মায়ের মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবে হয়নি, আমরা এর জন্য সিবিআই তদন্ত চাই বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শান্তনু ঠাকুরেরই বাবা তথা বিজেপির মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একই অভিযোগ করে তৃণমূল সাংসদ মমতা বালা ঠাকুরের জন্যই বড়মা বীণাপাণি দেবী খুন হয়েছেন বলে জানান শান্তনু ঠাকুরও। পাল্টা এই ব্যাপারে মুখ খুলে সেই ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য তথা তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর বলেন, “ওদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। তাই ওরা এইসব ভুল বকছে।” এদিকে প্রিয় বড়মা বীনাপানি দেবীর শেষকৃত্য নিয়ে যখন ঠাকুরবাড়ির অন্দরে শাসক দল তৃণমূল বনাম বিরোধী দল বিরোধী দল বিজেপির মধ্যে তীব্র দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে, ঠিক তখনই সেই বড়মার শেষকৃত্যে যোগ দিতে ঠাকুরবাড়িতে নেমেছে অগণিত ভক্তের ঢল। আর ঠাকুরবাড়ির এই আভ্যন্তরীন রাজনৈতিক দড়ি টানাটানিতে তীব্র ভাবে ক্ষুব্ধ মতুয়া ভক্তরা। তাঁদের মতে, শুধু জেলার কিংবা রাজ্যের নয়, সারাদেশে ঠাকুরবাড়ির অভিভাবক হিসাবে বড়মার খ্যাতি রয়েছে। তাই বড়মার শেষকৃত্যে এই ধরনের রাজনীতি কোনভাবেই কাম্য নয়। বিশেষ করে ঠাকুরবাড়ির আভ্যন্তরীন ব্যাপারে একদিকে তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও সুজিত বসু, তো অন্যদিকে বিজেপির মুকুল রায় ও রাহুল সিনহার ঢুকে পরে মতামত দেওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না মতুয়া ভক্তরা। সব মিলিয়ে এবার বড়মা বীণাপাণি দেবীর শেষকৃত্য নিয়েও রাজনীতিতে মজে উঠল ঠাকুরবাড়ি। আপনার মতামত জানান -