এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পরাজিত হতেই হেভিওয়েট নেতাকে ঝাঁটাপেটা করা নিদান, হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার মন্তব্যে অস্বস্তি!

পরাজিত হতেই হেভিওয়েট নেতাকে ঝাঁটাপেটা করা নিদান, হেভিওয়েট তৃণমূল নেতার মন্তব্যে অস্বস্তি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসলেও, রাজনৈতিক উত্থান-পতনের অন্যতম আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত ভাঙ্গর বিধানসভা কেন্দ্রে জয়লাভ করতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। বস্তুত, এবারে ভাঙ্গড় বিধানসভা কেন্দ্রে এখানকার প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে তৃনমূল কংগ্রেস প্রার্থী করবে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেখানে প্রার্থী করা হয় বিশিষ্ট চিকিৎসক রেজাউল করিমকে। আর তারপর থেকেই তৃণমূলের অন্তর্ঘাত সামনে আসে।

প্রকাশ্যে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করতে দেখা যায় তৃণমূলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলামকে। তবে শেষ পর্যন্ত এখানে জয়লাভ করে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী আইএসএফের টিকিটে লড়াই করা নওশাদ সিদ্দিকী। এদিকে দল তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে না আসতেই যখন বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গেছে, ঠিক তখনই ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত হতে দেখা গেল ভাঙ্গড় বিধানসভা তৃণমূল কংগ্রেসকে।

যেখানে সরাসরি তৃণমূলের পরাজিত প্রার্থী রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেল এখানকার তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা আরাবুল ইসলামকে। রীতিমতো “হেরো” বলে “ঝাটা মেরে বিদায় করা দরকার” এমন মন্তব্য করে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থীর উদ্দেশ্যে কটুক্তি করতে দেখা গেল আরাবুল সাহেবকে। যার জেরে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

সূত্রের খবর, এদিন সরাসরি রেজাউল করিমকে আক্রমণ করেন আরাবুল ইসলাম। তিনি বলেন, “অপদার্থ, নির্লজ্জ, বেহায়া একটা লোককে ভাঙ্গড় থেকে তাড়িয়ে রাজ্য দপ্তরে নিয়ে যাব। ঝাঁটা মেরে বিদায় করব। ওকে দেখেই মানুষ আমাদের ভোট দেননি। আমি রাজ্য দপ্তরে গিয়ে সুব্রত বক্সীকে বলে এসেছি, ওকে তাড়িয়ে রাজ্য দপ্তরে নিয়ে যাব। হেরে যাওয়ার পর একদিনও যোগাযোগ করেনি। অথচ বলে বেড়াচ্ছে, আমি নাকি রেজাউল করিমকে ভাঙড়ে ঢুকতে দিচ্ছি না। সমস্ত কিছু মিথ্যে কথা। একটা হেরে যাওয়া লোক কিসের আশায় ভাঙলে পড়ে রয়েছে! তোলাবাজি করার জন্য বসে রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতাল তৈরি করে ব্যবসা করার জন্য বসে রয়েছে।”

এদিকে পরাজিত হওয়ার পরেই আরাবুল ইসলাম যেভাবে রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন, তাতে রীতিমত হতচকিত একাংশ‌। যেখানে বারবার তৃণমূলের পক্ষ থেকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করবার বার্তা দেওয়া হচ্ছে, সেখানে ভোটে পরাজিত হওয়ার পরেই রেজাউলবাবুর উদ্দেশ্যে এরকম কটুক্তি কেন করলেন আরাবুল সাহেব! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই রেজাউল করিম অবশ্য বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে পাঁচ বছরের জন্য ভাঙ্গড়ে পাঠিয়েছেন। তার কথা মত কাজ করছি। আরাবুল কি বললেন, তাতে আমার কিছু এসে যায় না। আমার কাছে ওর কথার কোনো গুরুত্ব নেই। দলনেত্রী যেমন নির্দেশ দেবেন, তেমনই কাজ করব।” আর আরাবুল ইসলামের রাজনৈতিক আক্রমণ, পাল্টা তাতে গুরুত্ব না দিয়ে রেজাউল করিমের মন্তব্য অনেকের কাছেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, এই দ্বন্দ্ব থেকেই কার্যত পরিষ্কার, সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয় হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসে। গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য প্রথম দিকে দলের ঘোষিত প্রার্থীকে মেনে নিতে পারেননি আরাবুল ইসলাম। পরবর্তীতে শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচারে করতে দেখা যায় তাকে।  কিন্তু শেষ পর্যন্ত এখানে পরাজিত হয় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবার পরাজিত হওয়ার পরেই রেজাউল করিমকে বেনজির আক্রমণ করে তাদের মধ্যে যে যথেষ্ট দূরত্ব রয়েছে, তা বুঝিয়ে দিলেন আরাবুল ইসলাম। যার ফলে ভাঙ্গড় নিয়ে রীতিমত চিন্তিত তৃণমূল নেতৃত্ব। সব মিলিয়ে দুই নেতার দ্বন্দ্ব আটকাতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে তৃণমূল নেতৃত্ব, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!