এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিজেপিকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের, চাপ বাড়ল মোদী-শাহের!

পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিজেপিকে ওপেন চ্যালেঞ্জ অভিষেকের, চাপ বাড়ল মোদী-শাহের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার পরিবার তন্ত্র নিয়ে অভিযোগ করা হয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট নেতা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই তৃনমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। আর তারও বহু আগে মুকুল রায় শিবির পরিবর্তন করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে উত্থান যে খুব একটা মানা সম্ভব হচ্ছে না, তা বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকি তৃণমূলের অনেকেও তলায় তলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে উত্থান মেনে নিতে পারছিলেন না। যার ফলে বিরোধীরা তাদের হাতে বাড়তি হাতিয়ার পেয়ে গিয়েছিল।

2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল পরিবারতান্ত্রিক দলে পরিণত হয়েছে বলে কটাক্ষ করতে শুরু করেছিল বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। আর এই পরিস্থিতিতে তৃতীয়বার তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতে না আসতেই সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে অভিষেক ঘটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যেখানে সম্প্রতি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে দলকে বিস্তৃতি লাভ করানোর জন্য সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোকে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা যে আরও বেশি করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলবে, তা স্বাভাবিক। তবে বিরোধীদের সেই কটাক্ষের জবাব দিয়ে গেরুয়া শিবিরকে পাল্টা প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর সোমবার প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বিজেপির উদ্দেশ্যে পরিবারতন্ত্র নিয়ে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন তিনি। সংসদে পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে আইন পাশ করার দাবি জানিয়ে অমিত শাহর ছেলে জয় শাহের কথা তুলে ধরে কার্যত গেরুয়া শিবিরকে অস্বস্তিতে ফেলে দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক‌।

এদিন তিনি বলেন, “পরিবারতন্ত্র নিয়ে আপনারা কথা বলছেন। কারো ছেলে বিধায়ক, কারও ছেলে সাংসদ, কারও ছেলে মন্ত্রী। আপনারা এত বিভ্রান্ত, চিন্তিত কেন? তাহলে যাদের অন্য দল থেকে ভেঙে নিয়েছেন, তাদের মধ্যে কতজন পরিবারতন্ত্রের সুবিধা পেয়েছে? আগে তাদের সরিয়ে দিন। দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিসিসিআইয়ের যুগ্মসচিব একই পরিবারের। আমি একজন সাংসদ। কিন্তু আমি আগামী কুড়ি বছরে মন্ত্রী হতে চাই না। জয় শাহ কি প্রকাশ্যে বলতে পারবেন যে, তিনি আগামী কুড়ি বছরে বিসিসিআই সভাপতি হতে চান না! আমি বিনয়ের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বভাবতই পরিবার তন্ত্র নিয়ে সমালোচক মহল থেকে শুরু করে বিরোধীদের তরফ থেকে যে কটাক্ষ আসতে শুরু করেছিল, প্রথম সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই ব্যাপারে রীতিমত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পর্যবেক্ষকদের মতে, এক সময় কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন বর্তমান তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে পৃথক দল গঠন করেছিলেন তিনি। কিন্তু নতুন দল গঠন করলেও সেই দল ক্ষমতায় আসার সাথে সাথেই তিনি নিজের মত করে দলে পরিবার তন্ত্র স্থাপন করতে শুরু করেছেন, এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। যা ক্রমাগত ঘাসফুল শিবিরের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে।

তবে তৃতীয় বার তৃনমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর তার অন্যতম কৃতিত্বের ভাগীদার হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলস্বরুপ সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে সংগঠন তৈরি করার জন্য তাকে দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড করা হয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করার পরেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে পরিবার তন্ত্র নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে।

কিন্তু এবার পরিণত রাজনীতিবিদের মত সেই পরিবার তন্ত্র নিয়ে রীতিমত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। স্বাভাবিক ভাবেই অভিষেকবাবুর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির পক্ষ থেকে কি প্রতিক্রিয়া আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!