প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   এক বছর আগে করোনা ভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছিলেন। তবে এক বছর কাটতে না কাটতেই আবার দ্বিতীয় ঢেউ প্রবেশ করেছে ভারতবর্ষে‌। যার প্রভাব পড়েছে বাংলাতেও। আর করোনা ভাইরাসকে আটকানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না সাধারন মানুষ। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা এবং লকডাউনকে কেন্দ্র করে কার্যত দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ চরম সমস্যায় পড়েছেন।

কিভাবে তাদের সংসার চলবে, তা নিয়ে চিন্তার শেষ নেই। অনেকেই বিভিন্ন সংস্থার পক্ষ থেকে যে সাহায্য করা হচ্ছে, সেই সাহায্য নিয়ে দিনযাপন করছেন। আর এই পরিস্থিতিতে করোনা ভাইরাসের সময় আর্থিক সংকটে পড়ে যাওয়া পরিচারিকাদের পাশে দাঁড়ালেন তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ। যেখানে যতদিন লকডাউন থাকবে, ততদিন প্রায় 100 জন পরিচালিকার হাতে তিনি খাবার তুলে দেবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন।

স্বাভাবিক ভাবেই বিধায়কের এই উদ্যোগে রীতিমত খুশি কর্মহীন হয়ে পড়া পরিচারিকারা। দুবেলা পেট ভরে খেতে পাওয়ার জন্যই তারা অন্যের বাড়িতে কাজ করে দিনযাপন করেন। কিন্তু করোনা ভাইরাস তাদের কর্মহীন করে দিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দিনযাপন নিয়ে সংশয়ে থাকা সেই পরিচারিকাদের পাশে দাঁড়িয়ে তারকেশ্বরের তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগ রীতিমত সাধুবাদ যোগ্য বলেই মনে করছেন সকলে।

জানা গেছে, লকডাউনের এই মুহূর্তে তারকেশ্বর মন্দির সংলগ্ন এলাকা থেকে পরিচারিকাদের এই খাবার তুলে দেবেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক। ইতিমধ্যেই বুধবার থেকে এই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক রামেন্দু সিংহ বলেন, “লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই পৌর এলাকায় হাজার হাজার পরিবারকে দুপুরের খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া এখনও চালু রাখা হয়েছে। এবার সেই তালিকায় গৃহস্থের কাজ করা পরিচারিকাদেরও নাম উঠল। বুধবার থেকেই কর্মহীন পরিচারিকাদের যতদিন লকডাউন থাকবে, ততদিন দুপুরে খাবার দেওয়া হবে।” অর্থাৎ কর্মহীন হয়ে যাওয়া পরিচারিকাদের জীবনযাপন নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের এই চিন্তা এবং উদ্যোগ যে যথেষ্ট সাড়া ফেলে দিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ ভারতবর্ষে প্রবেশ করার পরেই তা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে সেই আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা লাগাম টানা গেলেও, পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। যাকে লকডাউন বলা না গেলেও মানুষ সেভাবে রাস্তায় বেরোতে পারছেন না। তাই এই পরিস্থিতিতে গৃহপরিচারিকা যথেষ্ট সমস্যার মুখে পড়েছেন। তাই এবার তাদের কথা মাথায় রেখে তারকেশ্বরের বিধায়ক সেই সমস্ত পরিচারিকাদের দুপুরের খাবার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। যা অত্যন্ত মানবিক এবং কার্যকরী সিদ্ধান্ত বলেই মনে করছেন সকলে।