এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরে বাড়ছে অপরাধের প্রবণতা! করোনা আবহে নতুন চিন্তায় ঘুম উড়ছে প্রশাসনের

পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরে বাড়ছে অপরাধের প্রবণতা! করোনা আবহে নতুন চিন্তায় ঘুম উড়ছে প্রশাসনের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা আবহে লকডাউনের শুরুতে না হলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা পশ্চিমবাংলায় ফিরতে শুরু করে। তখন থেকেই আশঙ্কা ছিল, রাজ্যজুড়ে হয়তো পরবর্তীতে অপরাধপ্রবণতার হার বাড়তে পারে। আর আশঙ্কা বাড়িয়ে বিভিন্ন জায়গা থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী পরিযায়ী শ্রমিকদের হাত ধরে অপরাধপ্রবণতা যে ক্রমশ বেড়ে চলেছে রাজ্যে সে কথা ক্রমশ সামনে আসছে। কিছুদিন আগেই বিএসএফ সূত্র ধরে একটি পাচার কাণ্ডের সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিকদের লিঙ্ক পাওয়া গেছে।

আর তারপর থেকেই রাজ্যজুড়ে পুলিশ হয়ে উঠেছে আরো সতর্ক। এবং সতর্কতার কারণে এবার আন্তঃজেলা সীমানায় গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে পুলিশি উদ্যোগে। ইতিমধ্যে জানা গেছে, কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ আন্তঃজেলা সীমানার প্রায় 15 টি পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগাচ্ছে। পুলিশি সূত্রে জানা যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতির শুরুর দিকে অপরাধপ্রবণতা কিছুটা কম থাকলেও দিন দিন বেড়ে চলেছে অপরাধের হার। এর পিছনে পরিযায়ী শ্রমিকদের থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।

এই নিয়ে সম্প্রতি কৃষ্ণনগর জেলার ক্রাইম কনফারেন্সেও বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এবার অপরাধপ্রবণতা কমাতে বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। বরাবরই নদীয়া জেলা ভৌগোলিক কারণে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ সীমানাতে থাকা হোগলবেড়িয়া থেকে উত্তর 24 পরগনার সীমানার ধানতলা পর্যন্ত আটটি থানার উপর দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্ত গিয়েছে। যার মধ্যে বেশ কয়েকটি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়াও নেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে এইসব সীমান্ত দিয়ে নিত্যদিন পাচারের ঘটনা ঘটে বলে খবর। পুলিশের একাংশের মতে, নদীয়া জেলায় দুষ্কৃতীদের লুকিয়ে থাকার জায়গার অভাব নেই। আবার এই জেলাতেই অপরাধ করে পার্শ্ববর্তী জেলাতেও পালানোর বহু রাস্তা রয়েছে। উল্লেখ্য, নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জে গতবছর সরস্বতী পূজার রাতে খুন হন তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস। অপরাধীরা এখনো ধরা পড়েনি। অন্যদিকে, তারও আগে হাঁসখালী থানায় দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে খুন হন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি দুলাল বিশ্বাস।

সেই তদন্তে উঠে এসেছিল বাংলাদেশ দুষ্কৃতীদের যোগ। তবে নজরদারি বাড়ানোর অন্যতম কারণ আর কিছুদিনের মধ্যেই রাজ্যে শুরু হতে চলেছে বিধানসভা নির্বাচন। আর আশঙ্কা থাকছে অন্য রাজ্য থেকে এবার বাংলাতেও আগ্নেয়াস্ত্র ঢুকতে পারে। আর সেই জন্যেই পুলিশের তরফ থেকে সাবধানতা হেতু মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় এবং কৃষ্ণনগর জেলার বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। যদিও বহু ক্ষেত্রে দেখা যায় সিসিটিভি ক্যামেরা খারাপ হয়ে গেলে পরবর্তীতে তা আর পরিবর্তন হয়না।

তবে সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, যদি কোথাও ক্যামেরা খারাপ হয়ে যায় তাহলে যেন অবিলম্বে থানার ওসি বা আইসিদের জানানো হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধুমাত্র সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে ব্যাপক আকারে হয়ে চলা অপরাধ কিভাবে আটকানো যাবে তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে। কারণ অপরাধীরাও এখন যথেষ্ট আটঘাট বেঁধেই কাজ করে। তবে পুলিশের দাবি, শুধু সিসিটিভি ক্যামেরাই নয়, জেলাজুড়ে নাকা চেকিং এবং তল্লাশি জারি থাকবে। তাই অপরাধীদের অপরাধ করে পালানোর প্রবণতা কিছুটা ধাক্কা খাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!