এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > একতরফা ভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে রেল, রাজ্য সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে – অভিযোগ মমতার

একতরফা ভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরত পাঠাচ্ছে রেল, রাজ্য সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ছে – অভিযোগ মমতার


দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা বাইরে রয়েছেন। হঠাৎ করেই করোনা ভাইরাস আটকাতে লকডাউনের কথা ঘোষণা হওয়ায় সেই সমস্ত শ্রমিকদের বাড়িতে ফেরা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে রুজি রোজগার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা সেখানে সংশয়ের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা শিথিল হওয়ায় সেই সমস্ত বাইরে থাকা শ্রমিকদের নিজের রাজ্যে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা শুরু করেছে রেল। যেখানে রেলের পক্ষ থেকে স্পেশাল ট্রেন চালু করে সেই সমস্ত শ্রমিকদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, রাজ্য সরকার সেই সমস্ত শ্রমিকদের নিয়ে আসতে সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। যা নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

আর এমতাবস্তায় রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরত পাঠানোর জন্য যখন রেলের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তুললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে একসাথে এত শ্রমিককে পাঠানো নিয়ে রেলের বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। সূত্রের খবর, এদিন নবান্নের সভাগৃহে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যে একসাথে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিককে পাঠানো নিয়ে আপত্তি জানান তিনি।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একসঙ্গে লক্ষ লক্ষ লোক এসে গেলে আমরা কি করতে পারি! কেন্দ্র যদি আমাদের কথা শুনে একটু সাহায্য করত, রেল যদি আমাদের কথা একটু শুনত, তাহলে অসুবিধা হত না। 15 দিনে ধীরে ধীরে সবাইকে ফিরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু একসঙ্গে দু লক্ষ মানুষ চলে এলে কি করব! এত মানুষের মেডিকেল টেস্ট কোথায় হবে!” আর এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এরপর যদি বাংলায় হাজার হাজার লোকের করোনা হয়, তার দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকার নেবে তো? আপনারা চান বাংলাটা মহারাষ্ট্র, গুজরাট, দিল্লি হয়ে যাক! অন্য রাজ্যে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের জন্য আমরা সমবেদনা জানাই। আমরা এই পরিস্থিতিতে রাজনীতি চাই না। এই কারণে কনটেইনমেন্ট জোনে আটকে রাখার কথা বলা হয়‌। কিন্তু আজ একটা এলাকার মধ্যে সংক্রমণ বেঁধে রাখা যাচ্ছে না। আগামী দিনে কি হবে জানি না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরত আনতে বর্তমানে এগারোটি ট্রেন পাঠানো হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় বিরুদ্ধে সরব হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “ওরা আমাকে পলিটিক্যালি ডিস্টার্ব করতে গিয়ে বাংলার কেন সর্বনাশ করছে আমি জানি না। দুর্যোগ সামলাব, নাকি আপনাদের রাজনীতি সামলাব!” আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য নিয়ে এখন বিরোধীদের তরফে ব্যাপক প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বিরোধীদের বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি এতই শ্রমিক দরদী হবেন, তাহলে কেন বাইরে থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে আনার জন্য তিনি সদর্থক ভূমিকা নিচ্ছেন না!

এক্ষেত্রে যখন কেন্দ্রের পক্ষ থেকে স্পেশাল ট্রেন চালু করে সেই সমস্ত শ্রমিকদের আনা হচ্ছে, তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন তার বিরোধিতা করছেন? তবে সরকারপক্ষের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হচ্ছে, গোটা বিষয়টি বুঝতে হবে। একসাথে যদি এত পরিযায়ী শ্রমিক আসে এবং তাদের শরীরে যদি করোনাভাইরাস থাকে, তাহলে তা ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করতে পারে। তাই ধীরে ধীরে শ্রমিকদের রাজ্যে আনার কথা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে আসা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবং কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কিনা, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!