মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে চিঠি পাঠালেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ফের রাজ্য- কেন্দ্র সংঘাত শুরু কলকাতা জাতীয় রাজ্য May 9, 2020 করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গোটা দেশে লকডাউন চলছে। আর এই লকডাউনের ফলে গোটা দেশ ও রাজ্য বন্ধ। যার জেরে বাইরে থাকা অনেক শ্রমিক নিজের রাজ্যে আসতে পারছেন না। ইতিমধ্যেই সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে বিরোধীদের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন জানানো হয়েছে সরকারের কাছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কোনোভাবেই সরকারের পক্ষ থেকে সেই শ্রমিকদের ফেরানোর প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিরোধীদের। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে এবার লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরানো নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে একটি চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আর সেই চিঠিতেই তিনি লেখেন, “পশ্চিমবঙ্গের থেকে প্রত্যাশা মত সাহায্য পাওয়া যাচ্ছে না। রাজ্য সরকার ট্রেন পৌঁছতে দিচ্ছে না। এতে পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। এর ফলে তাদের দুর্ভোগ আরও বাড়ছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অর্থাৎ এতদিন কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে করোনা মোকাবিলা নিয়ে নানা মতানৈক্য সামনে আসলেও, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরত পাঠানো নিয়ে যেভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, তাতে রাজ্য সরকারের বিড়ম্বনা অনেকটাই বৃদ্ধি পেল বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফ থেকে নবান্নে এই ব্যাপারে চিঠি পাঠানো হলেও, পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অসত্য বলছেন। এই চিঠি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা খারাপ রাজনীতি। সেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর থেকে আশা করা যায় না।” তবে এখানেই একাংশের বক্তব্য, যদি সত্যিই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্য সত্যি হয়, তাহলে রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। সেদিক থেকে কেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী রাজ্য পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসতে কেন পদক্ষেপ নিচ্ছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে এই গোটা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য বনাম কেন্দ্রের দ্বৈরথ আরও চরম আকার ধারণ করতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -