এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পরীক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন রাজ্যের চালানো হচ্ছে বিশেষ লোকাল ট্রেন! বাংলা থেকে আবেদনই যায়নি?

পরীক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন রাজ্যের চালানো হচ্ছে বিশেষ লোকাল ট্রেন! বাংলা থেকে আবেদনই যায়নি?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি জেইই এবং নীট নিয়ে চূড়ান্ত বাকবিতণ্ডা শুরু হয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে। দেশের করোনা পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় বেশ কয়েকটি রাজ্য ইতিমধ্যেই দাবি জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা দেওয়ার নাম করে তাদের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলা হবে। কিন্তু বারবার বাকবিতণ্ডা হওয়া সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার তাঁদের সিদ্ধান্ত পাল্টায়নি। এই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে যান চলাচল এই মুহূর্তে অনেক কম। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছানো যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়াবে।

এছাড়াও সংক্রমণের আশঙ্কা তো আছেই। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, পরীক্ষার্থীদের স্বার্থ ও স্বাস্থ্যের থেকে অনেক বেশি এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব গুরুত্ব পাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এবার রেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, অভিন্ন জয়েন এন্ট্রান্স পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন রাজ্য থেকে রেল চালানোর জন্য আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সেই আবেদনপত্রে কোথাও পশ্চিমবঙ্গের নাম নেই। এ প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের জনৈক কমার্শিয়াল ম্যানেজার জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে বা ব্যক্তিগতভাবে কেউই পরীক্ষার্থীদের জন্য ট্রেন চালানোর বিষয় নিয়ে কথা বলেননি। পাশাপাশি তিনি জানান, মুম্বাইতে কিন্তু জরুরী কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া ব্যক্তিদের জন্য ট্রেনে চড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যা এরাজ্যে হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে জেইই পরীক্ষা। আর তার জন্যই পরীক্ষার্থীদের আবেদনে স্পেশাল লোকাল ট্রেন চালানো হবে মুম্বাইতে বলে জানা গেছে। সেই ট্রেনে পরীক্ষার্থীরা এবং তাঁদের অভিভাবকরা অ্যাডমিট কার্ড দেখিয়ে উঠতে পারবেন। অন্যদিকে প্রবেশিকা পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে বিহারে 2 থেকে 15 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কুড়ি জোড়া বিশেষ ট্রেন চলবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে পনেরোই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্পেশাল ট্রেন ছাড়া অন্য কোন যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে না দেশে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই অনুযায়ী হাওড়া ও শিয়ালদা থেকে কোন লোকাল ট্রেন চলবে না 15 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

অন্যদিকে বাংলা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য কেন্দ্রের কাছে পরীক্ষা পিছোনোর কথা আগেই জানিয়েছিলেন। এবার ছটি রাজ্য পরীক্ষা পিছোনোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছে। তবে সেই পিটিশন এখনো সর্বোচ্চ আদালতে পৌঁছায়নি বলে জানা গেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন ঝুঁকির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি থাকবেই।

কিন্তু সেই পরিস্থিতিতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত প্রশ্নের মুখে ফেলার কোন যুক্তি নেই। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা দিতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে অসুবিধার মুখে না পড়ে, তার জন্য ব্যবস্থা হলেও পরীক্ষার্থীদের অনেকেই অসুবিধার মুখে পড়বেন সে কথা এক বাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তারমধ্যে এরাজ্যে ট্রেন চালানো না হলে পরিস্থিতি যে আরো খারাপ হবে পরীক্ষার্থীদের জন্য তা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!