এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পরীক্ষার বিরুদ্ধে জনমত হলেও খুশি নন পড়ুয়ারা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আশঙ্কা!

পরীক্ষার বিরুদ্ধে জনমত হলেও খুশি নন পড়ুয়ারা, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আশঙ্কা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রোনা পরিস্থিতি শিক্ষাব্যবস্থাকে এক নতুন জায়গায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় বন্ধ। ছুটি বাজার ঘন্টা সেই কবে থেকে শুনতে পান না ছাত্র-ছাত্রীরা। তবে স্কুল না হলেও পরীক্ষা যে হবে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক দুই বড় পরীক্ষা দেওয়া থেকে যে বঞ্চিত হবেন না ছাত্রছাত্রীরা, সেই বিষয়টি কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবে এই দুই পরীক্ষা নিয়ে যখন টালমাটাল পরিস্থিতি শুরু হয়েছিল, তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, রাজ্যে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। যা আরও উৎসাহ যুগিয়েছিল পড়ুয়াদের মধ্যে। করোনা পরিস্থিতির কারণে পরীক্ষা নেওয়া উচিত কি উচিত না, তা স্থির করতে সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে মানুষের মতামত চাওয়া হয়।

আর সেই মতামতের সিংহভাগ মানুষ পরীক্ষার বিরুদ্ধে মত প্রদান করেন। যার জেরে বাতিল হয়ে যায় মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। অতীতে নানা মহামারী এবং নানা বিপজ্জনক ঘটনা ঘটেছে গোটা দেশে। কিন্তু এরকম ভাবে শিক্ষা জীবনের সবথেকে দুই বড় পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ছাত্রছাত্রীরা, তা মনে পড়ছে না কারোরই। মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরীক্ষার বিরুদ্ধে বিপুলসংখ্যক মানুষের মতামত রয়েছে বলে জানিয়ে দেন।

যার ফলে মনে করা হয়, পরীক্ষা বাতিল হওয়ায় খুশি হবেন ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অভিভাবক- অভিভাবিকারা। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরেও খুশি নন একাংশ পড়ুয়া। পরীক্ষা না হওয়াতে তারা যে সঠিক মূল্যায়ন পাবেন না, সেই ব্যাপারে আশঙ্কার সুর শোনা গেছে তাদের গলায়।‌

এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতার লেকটাউনের পরীক্ষার্থী অনির্বাণ মজুমদার বলেন, “ধৈর্য হারিয়ে ফেলেছিলাম। বারবার মনে হচ্ছিল, একটা কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে আমাদের জানিয়ে দেওয়া হোক‌। পরীক্ষা হবে না জেনে ভীষণ মন খারাপ লাগছে। এতদিনের পরিশ্রম কোনো কাজে এল না।” অনেকের গলায় আবার সরকারের প্রশংসা করেও সরকারের নীতি নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছে। যেমন কিছুদিন আগেই পরীক্ষা ব্যবস্থার জন্য এবং অনলাইন পড়াশোনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষ থেকে ট্যাব দেওয়া হয়েছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে সেটাকে হাতিয়ার করে পরীক্ষা ব্যবস্থা অত্যন্ত সুসংহত ভাবেই নেওয়া যেত বলে দাবি করেছেন অনেক পরীক্ষার্থী। তাই ট্যাব দিয়ে কাজের কাজ আদৌ কি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন অনেকে। তবে শুধু পরীক্ষার্থীরা নয়, তাদের অভিভাবকরা রীতিমত পরীক্ষা না হওয়াতে চিন্তিত। এদিন এই প্রসঙ্গে এক উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, “এবার কলেজে ভর্তি হতে গিয়ে জটিলতা তৈরি হবে। আমার ছেলে ফিজিক্স নিয়ে পড়তে চায়। ভালো কলেজ কিসের ভিত্তিতে ফিজিক্স নিয়ে পড়ার সুযোগ দেবে!”

পর্যবেক্ষকদের মতে, সিংহভাগ মানুষ করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে পরীক্ষা বাতিলের পক্ষে সায় দিয়েছিলেন। আর তার ভিত্তিতেই মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করে দিয়েছে সরকার। তবে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিম্নমুখী। আর এই পরিস্থিতিতে অনলাইন মাধ্যমকে হাতিয়ার করে এই পরীক্ষা ব্যবস্থা নিলেও যে তা অনেকটাই ভালো হত, তা বলাই যায়। তাই অনেক পড়ুয়া থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবকরা পরীক্ষা না হওয়াতে ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

সঠিক মূল্যায়ন আদৌ হবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন তারা। মূলত জীবনের দুই বড় পরীক্ষা থেকে এবার প্রথম বঞ্চিত হলেন ছাত্রছাত্রীরা। ইতিহাসে হয়ত এবারের ঘটনা লেখা থাকবে। তাই পরীক্ষা নেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েও নিজেদের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে চিন্তিত শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে তাদের অভিভাবকরা, তা একপ্রকার স্পষ্ট। অনেকে বলছেন, পরীক্ষা গ্রহণ করা না হলেও ধীরে ধীরে শিক্ষাব্যবস্থাকে সচল করা হোক। ধীরে ধীরে খুলুক স্কুল-কলেজ। তাহলে ছাত্রছাত্রীরা অন্তত তাদের পড়াশুনার প্রতি মনোযোগী হতে শুরু করবে। না হলে ধীরে ধীরে অনলাইন মাধ্যমকে হাতিয়ার করে বিদ্যালয় এবং মহাবিদ্যালয়ের স্বাদ ভুলতে শুরু করবে পড়ুয়ারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!