এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পরিষেবা নিয়ে জনমানসে বাড়ছে ক্ষোভ! স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতানেত্রীদের আটকে রেখে প্রতিবাদ!

পরিষেবা নিয়ে জনমানসে বাড়ছে ক্ষোভ! স্থানীয় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতানেত্রীদের আটকে রেখে প্রতিবাদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   এবার ধীরে ধীরে ক্ষিপ্ত হতে শুরু করেছে জনতা জনার্দন। সূত্রের খবর, রাতভর বৃষ্টির জেরে দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকা বিপর্যস্ত হওয়ার কারণে সেই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন দুর্গাপুর পৌরসভার এক মেয়র পরিষদ সহ তিন জন কাউন্সিলার। কিন্তু সেখানে গিয়েই সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাদের। যার জেরে সেখানে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।

বস্তুত, দুর্গাপুরের 28 নম্বর ওয়ার্ডের সগড়ভাঙ্গা গ্রামের কাছে রেলের একটি স্টক ইয়ার্ড সংলগ্ন এলাকা এদিন জলমগ্ন হয়ে যায়। আর সেই খবর পেয়েই সেখানে উপস্থিত হন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পরিষদ অঙ্কিতা চৌধুরী। এদিকে অঙ্কিতাদেবী সেখানে উপস্থিত হতেই দীর্ঘদিন ধরে কেন এই সমস্যা রয়েছে, তার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলে তাকে ঘিরে ধরেন এলাকাবাসীরা। পরবর্তীতে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

অন্যদিকে 29 নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় কাউন্সিলর সুনীল চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে বেহাল নিকাশির ব্যাপারে রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরবর্তীতে পুলিশ গিয়ে কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। একই ঘটনা ঘটেছে এক নম্বর ওয়ার্ডের ধোবিঘাট এলাকায়। যেখানে কাউন্সিলর শিপ্রা সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তাঘাট সহ বেহাল নিকাশি ব্যবস্থার ব্যাপারে সরব হন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আর একের পর এক ওয়ার্ডে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে ঠিকমতো পরিষেবা না দেওয়ার অভিযোগে যেভাবে সাধারণ মানুষ বিক্ষোভ এবং রাস্তা অবরোধ করতে শুরু করেছেন, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস এখন ব্যাপক চাপে পড়েছে। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে সরব হয়েছে বিরোধীরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা সিপিএমের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, “কিভাবে 95 শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে পৌরবোর্ড ক্ষমতায় এসেছিল, শহরের মানুষ তা ভোলেননি। তার ওপরে রাস্তা সহ সব নাগরিক পরিষেবা বেহাল। আমাদের কর্মীরা সাধ্যমত প্লাবিত এলাকায় কাজ করছেন।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিজেপির সভাপতি লক্ষণ ঘোড়ুই বলেন, “বর্তমান পৌরবোর্ড শহরবাসীর কথা ভাবে না। আমাদের দলের কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দুর্গত মানুষদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছেন। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ এর শোধ নেবেন।”

এদিকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে যখন সাধারন মানুষের এই বিক্ষোভকে হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আরও বেশি করে সরব হওয়ার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তখন তার পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের অন্যতম মুখপাত্র তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুর্গাপুরের নিকাশি ব্যবস্থা বাম আমল থেকেই অবহেলিত। এখন তার ফল শহরবাসীকে ভোগ করতে হচ্ছে। আমরা সমস্যা মেটাতে কাজ করছি। বিরোধীদের কাজই হচ্ছে ভিত্তিহীন অভিযোগ করা।”

তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, গোটা পরিস্থিতি যে শাসকদলের অনুকূলে খুব একটা নেই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন তৃণমূল সাধারণ মানুষের এই বিক্ষোভ দমাতে সঠিক পরিষেবা দেওয়ার জন্য কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!