প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের হোয়াটসঅ্যাপে একটি কথোপকথোনের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে চলে আসে‌। যেখানে দেখা যায়, এক মহিলার সঙ্গে প্রণয়ঘটিত কথা বলছেন এই বিজেপি সাংসদ। যার পরে রীতিমতো নানা মহলে প্রশ্ন তৈরি হয়। একজন জনপ্রতিনিধি এইভাবে পরকীয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকায় বিরোধীদের তরফে তোলা হয় প্রশ্ন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় জগন্নাথবাবুর সঙ্গে সেই মহিলার কথোপকথনের স্ক্রিনশট তুলে ধরে বিজেপি সাংসদকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়।

যেখানে বলা হয়, “দাদা সবকিছু বেরিয়ে গেল, এবার মুখ দেখাতে পারবেন তো !” স্বভাবতই এই ঘটনার পর রীতিমত চাপে পড়েন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। তবে বিজেপি সাংসদ সত্যি সত্যিই এই ধরনের কোনো মেসেজ করেছেন কিনা, সেই প্রশ্নের উত্তরের খোঁজে ব্যস্ত ছিল সাংবাদিক মহল থেকে শুরু করে রাজনৈতিক মহল। অবশেষে এই ব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার‌। সূত্রের খবর, সোমবার এই ব্যাপারে একটি বিবৃতি জারি করেন জগন্নাথবাবু‌। যেখানে তিনি বলেন, ” সোশ্যাল মিডিয়ায় এই পোস্ট রাজনৈতিক আক্রোশ বশত করা হয়েছে।প্রতিহিংসার বশে এবং রাজনৈতিক অভিসন্ধি চরিতার্থ করতেই এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তৈরি করা হয়েছে।”

আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, গোটা ঘটনা নিয়ে যখন তোলপাড় হচ্ছে বিভিন্ন মহল, ঠিক তখনই জগন্নাথবাবু কি তাহলে চাপে পড়েই এই কথোপকথনের ঘটনাকে “ভিত্তিহীন” বলে দাবি করলেন! বিশেষজ্ঞদের মতে, সামনেই 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে যখন বিজেপি নারী নির্যাতন সহ বিভিন্ন ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছে, তখন বিজেপির একজন সাংসদের বিরুদ্ধে যদি এই রকম অভিযোগ ওঠে, তাহলে তা নিঃসন্দেহে গেরুয়া শিবিরের কাছে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যার প্রভাব পড়তে পারে ভোটবাক্সে। তাই এবার এই স্ক্রিনশট ও পোস্ট সামনে আসতেই রীতিমত গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক চক্রান্ত বলে দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। ফলে তার এই দাবি কতটা সত্য এবং এই ঘটনা নিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।