এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > পরোটা-চিকেন থেকে ফলের রস-স্ট্যান্ড ফ্যান! ‘পিকনিকের’ আবহে রাতভর ধরনা সাসপেন্ডেড সাংসদদের!

পরোটা-চিকেন থেকে ফলের রস-স্ট্যান্ড ফ্যান! ‘পিকনিকের’ আবহে রাতভর ধরনা সাসপেন্ডেড সাংসদদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি রাজ্যসভা থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার হওয়া বিরোধী দলের ৮ জন সাংসদকে সহমর্মিতা জানিয়ে তাদের পাশে এসে দাঁড়ালেন দেশের বিভিন্ন বিরোধীদলের নেতা ও সাংসদরা। তাদের সঙ্গে দেখা করতে সংসদ ভবনের চত্বরে এলেন দেবগৌড়া, আহমেদ পটেল, দিগ্বিজয় সিংহ সহ বহু নেতৃবর্গ। দিল্লির প্রচন্ড গরমে এই সাংসদদের রাত কাটানোর জন্য স্ট্যান্ড ফ্যানের ব্যবস্থা করা হলো, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তাদের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থা করলেন তৃণমূল দলের সাংসদরা।

করোণা, ডেঙ্গুর সংক্রমণকালে, খোলা আকাশের নীচে রাত্রিযাপনকারী সাংসদদের জন্য বিভিন্নভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন বিরোধী দলের নেতৃবর্গ তথা সাংসদেরা। ডিএমকের পক্ষ থেকে তাদের জন্য পাঠানো হলো ইডলি, শিবসেনার পক্ষ থেকে পাঠানো হলো ফলের রস, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে পাঠানো হলো পরোটা ও পাঞ্জাবের কালো আঙ্গুর, তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাঠানো হলো রুটি, চিকেন।

সংসদ ভবন চত্বরে গান্ধী মূর্তির পদদেশে রাতে কাটাতে তাঁদের জন্য এভাবেই চললো রাজকীয় বন্দোবস্ত। সংসদ চত্বরে গাঁধী মূর্তির পাদদেশে বাড়ি থেকে আনা চাদর বালিশ বিছিয়ে রাত কাটালেন ধর্নায় বসা সাসপেন্ড সাংসদেরা। স্লোগান ও কৃষক আন্দোলনের গান চললো, মধ্যরাতে নিদ্রা গেলেন তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এভাবে রাত কাটানোর পর সকাল বেলায় রাজ্যসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান আসার আগেই তাদের জন্য চা , কফির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অন্যদিকে সিপিএমের বয়স্ক সাংসদ এলামারান করিম ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ায়, তাঁর প্রতি বাদবাকি সাংসদেরা বিশেষ যত্ন নিয়েছিলেন। নিরাপত্তাকর্মীদের পক্ষ থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল
তাঁদের জন্য।

প্রসঙ্গত গতকাল কংগ্রেস সাংসদ রাজীব সতাভের জন্মদিন ছিল। এই দিন সাংসদকে উপস্থিত সকল নেতা জন্মদিনের শুভেচ্ছা বার্তা জানালেনা। এই রাতের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন জানালেন, ” শেষ রাতে চোখ বুজে এসেছিল। যখন খুলল, দেখি সংসদ চত্বরের জোরালো ফ্লাড লাইট চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে! রাতে গোটা চত্বর স্যানিটাইজ় করছিলেন কর্মীরা। আমরা অনুরোধ করায় তাঁরা আমাদের এলাকাটিও করে দেন।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!