এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পর্ষদের নতুন নিয়মাবলীতে ছুটি, উপস্থিতি ও পঠনপাঠন নিয়ে একাধিক চিন্তায় শিক্ষকমহল

পর্ষদের নতুন নিয়মাবলীতে ছুটি, উপস্থিতি ও পঠনপাঠন নিয়ে একাধিক চিন্তায় শিক্ষকমহল

মোট ছুটির সংখ্যা অপরিবর্তিত রেখে নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে স্কুলের পঠনপাঠন সংক্রান্ত যে রুটিন বার করা হয়েছে তাতেও একাধিক সমস্যা রয়েছে বলেই দাবী শিক্ষকমহলের একাংশের। ইচ্ছে মতো নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে আসা বা লম্বা ছুটি নেওয়া চলতেই থাকবে,এমনটাই আশঙ্কা করছেন তাঁরা। শুধু তাই নয়,সংস্কৃত ক্লাসের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।

খেলাধূলার ক্লাস আগের থেকে দুটো বাড়িয়ে চারটি এবং সংস্কৃত ক্লাস একটি কমিয়ে দিয়ে সপ্তাহে দুটি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে এতো কম সময়ে সংস্কৃতের সিলেবাস কীভাবে শেষ হবে,সে প্রশ্নও রয়েছে গিয়েছে। তার মধ্যে একটি দিনের সময় আবার ফরমেটিভ ইভ্যালুয়েশনের জন্যে বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে, স্কুলে ভাষাপাঠ অবহেলিত হবে বলেই আশঙ্কায় রয়েছেন শিক্ষকমহল।এসব সমস্যার সমাধানের জন্যে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই মধ্যশিক্ষা পর্ষদে চিঠি পাঠিয়ে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেস।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৌদীপ্ত দাসের বক্তব্য, ১০ টা ৩৫ মিনিট থেকে স্কুলের অ্যাপয়েন্টেড আওয়ার শুরু করতে বলা হয়েছে। ১০ টা ৪০ মিনিট থেকে ১০ টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত রাখা হয়েছে প্রার্থনার সময়। এই প্রার্থনায় প্রধান শিক্ষক সহ অন্যান্য সহ শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের উপস্থিত থাকার নির্দেশিকা রয়েছে সেই ২০১৩ থেকেই। কিন্তু মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সেই নিয়ম লঙ্ঘিত হচ্ছে বহুদিন আগে থেকেই। এমন প্রচুর স্কুল রয়েছে যেখানে প্রার্থনা একরকম অবহেলাই করা হয়।

তাছাড়া প্রার্থনায় উপস্থিতি বাধ্যতামূলক বলা হলেও,আসলে এতে হাজির না থাকলে কী শাস্তি হতে পারে,তার কোনো স্পষ্ট উল্লেখ নেই নির্দেশিকায়। ফলত,এক শ্রেনীর শিক্ষক এর ফায়দা লুটছেন। ১১ টা ০৫ মিনিটকে টার্গেট করেই স্কুলে ঢুকছেন অনেকে। কারণ তারপর স্কুলে হাজির হলে অনুপস্থিত বিবেচনা করা হয় তাই। তাছাড়া সামাজিক,ধর্মীয়,ভৌগোলিক অবস্থানের ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষকের হাত বিশেষ উৎসবে ছুটি দেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তারও অপব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

উদাহরণ স্বরূপ সামনে এসেছে বেশ কিছু স্কুলের নাম। যেমন,কাঁচরাপাড়ার একটি নামী স্কুল যেমন সংবিধান প্রণেতা বি আর আম্বেদকরের জন্মদিনে ছুটি দেয়নি। আবার শিমুরালির একটি স্কুল একেবারে শেষ মুহূর্তে গুরু নানক জয়ন্তী এবং নবী দিবসে ছুটি দিয়েছে। কল্যাণীর একটি স্কুল আম্বেদকর জয়ন্তীতে ছুটিই দেয়নি। পর্ষদের ছুটির তালিকায় থাকলেও হাওড়ার বালির একটি স্কুল ছটপুজোয় খোলা রেখেছিল। বহু স্কুলেই এমনটা হচ্ছে। তাছাড়া, বড়দিনের সময় থেকে বছরের প্রথম দিন পর্যন্ত লম্বা ছুটি পাওয়া লক্ষ্য থাকে শিক্ষকদের।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এছাড়া ২৩, ২৬ জানুয়ারি, ১৫ আগষ্ট এই জাতীয় উৎসবের দিনগুলোতে শিক্ষকদের স্কুলে এসে পতাকা উত্তোলন এবং অনুষ্ঠান পালন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে ২০০৫ সাল থেকে। কিন্তু সে নিয়মও লঙ্ঘিত হচ্ছে বর্তমানে। তিনদিনের মধ্যে একদিনই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্কুলে আসছেন শিক্ষকেরা। এ ব্যাপারে পর্ষদের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলেই মনে করছেন সৌদীপ্ত বাবু। এখন এই অভি্যোগ সংক্রান্ত আবেদন পত্র পর্ষদে পাঠানো হলে,এ ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সমস্যা মোকাবিলায় কী সিদ্ধান্ত নেয়,সেটাই দেখার!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!