এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > সরকারি পোর্টালে নাম অথচ বাস্তবে অস্তিত্বই নেই! এবার ভুয়ো পড়ুয়াদের তালিকা ঘিরে উত্তাল বাংলা!

সরকারি পোর্টালে নাম অথচ বাস্তবে অস্তিত্বই নেই! এবার ভুয়ো পড়ুয়াদের তালিকা ঘিরে উত্তাল বাংলা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সরকারি পোর্টালে নাম থাকলেও, বাস্তবে পড়ুয়াদের কোনোরূপ অস্তিত্ব না থাকায় ভুয়ো পড়ুয়া নিয়ে এখন ব্যাপক চিন্তা শুরু হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসনের অন্দরমহলে। জানা গেছে, সরকারি পোর্টালে বহু পড়ুয়ার নাম রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় এমন অনেক ভুয়ো স্কুলপড়ুয়ার খোঁজখবর মিলতে শুরু করেছে। যার ফলে বাস্তবে সেই সমস্ত পরিবার নাম না থাকলেও, কেন তাদের নাম আপলোড করা হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে খোঁজখবর নিতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। আর এই গোটা ঘটনা নিয়েই ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বেশ কয়েক বছর ধরে পড়ুয়াদের সমস্ত প্রকার তথ্যের জন্য বাংলার শিক্ষা নামে একটি পোর্টাল আপলোড করা হয়। আর সেখানেই সমস্ত পড়ুয়ার আইডি তৈরি করা হয়। যেখানে নির্দিষ্ট পড়ুয়া কোন স্কুলের এবং কোন ক্লাসে পড়ছে, তার যাবতীয় তথ্য সেখানে থাকে বলে খবর। মূলত স্কুল ছুটদের ফেরাতেই বিভিন্ন এলাকায় পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী পড়ুয়াদের খোঁজখবর করা হচ্ছে। কিন্তু সেই পোর্টাল দেখে পড়ুয়াদের নাম, ঠিকানা দেখতে গিয়ে এখন রীতিমত অনেকেরই হিমশিম খাওয়ার জোগাড়। কেননা এমন অনেক পড়ুয়া রয়েছেন, যাদের বাস্তবে কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে এখন গোটা বিষয়টি নিয়ে রহস্য ঘনীভূত হতে শুরু করেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। একাংশ বলছেন, এই ভুয়ো ছাত্র-ছাত্রীর নাম নথিভুক্ত করে মিড-ডে-মিল সহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এতদিন আত্মসাৎ করা হচ্ছিল। মূলত বাংলার শিক্ষা পোর্টাল নিয়ে অভিজ্ঞতা না থাকার কারণেই এমন হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে কে বা কারা এর সঙ্গে যুক্ত? কেন এই ধরনের কাজ করা হল! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

এদিন এই প্রসঙ্গে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার সমগ্র শিক্ষা মিশনের প্রকল্প আধিকারিক বিমলকৃষ্ণ গায়েন বলেন, “বাংলার শিক্ষা পোর্টাল পড়ুয়াদের সমস্ত তথ্য থাকচে। কোনো পড়ুয়া যদি বিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়, তাও পোর্টালে দেখা যাওয়ার কথা। তবে পোর্টালের ছাত্র-ছাত্রীর নাম থাকলেও, তাদের বাস্তবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এই সমস্যা কেন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) মৃন্ময় ঘোষ বলেন, “স্কুলছুটদের স্কুলমুখী করতে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা এলাকায় ঘুরে তাদের স্কুলে ভর্তি করাচ্ছেন। ভুয়ো নামের বিষয়ে কিছু জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।”

তবে একাংশ কার্যত নিশ্চিত, কেউ বা কারা এই ভুয়ো নাম পোর্টালে আপলোড করে দিয়ে তাদের সুযোগ সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তবে এই বড়সড় চক্রান্তের সঙ্গে কারা জড়িত, এখন সেই রহস্য সন্ধানেই ব্যস্ত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রশাসন। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!