এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > তোলাবাজ, অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ব্যক্তিদের দলীয় পদ! বড়সড় বিদ্রোহের মুখে বিজেপি?

তোলাবাজ, অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ব্যক্তিদের দলীয় পদ! বড়সড় বিদ্রোহের মুখে বিজেপি?


সাময়িকভাবে বিজেপি ভালো ফল করলেও, বর্তমানে তাদের সংগঠনের বেহাল দশা সামনে চলে আসছে। বিভিন্ন জেলায় মন্ডল সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা যাচ্ছে বিজেপির নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের। আর নিচুতলার কর্মী-সমর্থকদের এই বিক্ষোভ যে বিজেপিকে ভবিষ্যতে অনেকটাই বিপাকে ফেলবে, তা বুঝতে বাকি নেই জেলা থেকে রাজ্য নেতৃত্বের।

পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা পদ্ধতি অবলম্বন করা হলেও কাজের কাজ হচ্ছে না কিছুতেই। এতদিন দলীয় অফিসের সামনে এক শ্রেণীর কর্মী সমর্থকদের বিক্ষোভ বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছে। আর এবার বিজেপি জেলা সভাপতি, মন্ডল সভাপতি সহ একাধিক নেতার পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন জায়গায় দলের একাংশ পোস্টার লাগানোয় প্রবল অস্বস্তিতে পড়ল গেরুয়া শিবির।

জানা গেছে, মঙ্গলবার চন্দ্রকোনা রোডের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগানো হয়। যেখানে পোস্টারের একেবারে উপরে বিজেপির প্রতীক দিয়ে চারটি পয়েন্ট উল্লেখ করা হয়। আর বিজেপির প্রতীক দেওয়া এই পোস্টটর বিজেপির বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরাই যে দিয়েছে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। জানা গেছে, পোস্টারের একদম প্রথমে তোলাবাজ, দলীয় তহবিল তছরুপকারী, দলীয় কর্মীর সহিত অবৈধ সম্পর্কে লিপ্ত ব্যক্তিকে দলে আলোচনা ছাড়া দলীয় সভাপতি মনোনিত করা সংগত কিনা!

এই প্রশ্ন করা হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপে, অসামাজিক ক্রিয়া-কলাপ, অর্থের বিনিময়ে মদতদাতার সঙ্গে রাজনৈতিক কাজকর্ম করা সম্ভব কিনা! সেই প্রশ্ন করা হয়েছে। তৃতীয়তে মহিলা নেত্রীকে দিয়ে ফোনে সাধারণ কর্মীকে ডেকে ঘরের দরজা বন্ধ করে বিয়ে করতে চাপ দেওয়া এবং রফা করা সঙ্গত কিনা, তা লেখা হয়েছে। আর সবশেষে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে অনেক নেতা পরামর্শ করে দলের অনেক কর্মীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি মন্ডল সভাপতি হরেরাম সিংহ এবং জেলা সহ-সভাপতি রাজীব কুন্ডুর নেতৃত্বকে তারা মানবেন না বলেও হুশিয়ারি দিয়েছে বিজেপির একাংশ। শুধু তাই নয়, জেলা সভাপতি সমিত দাসকেও পদত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে সেই দেওয়ালে সাঁটা পোস্টারে। আর বিজেপির প্রতীক যুক্ত একটি পোস্টারে দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এভাবে সরব হওয়ার ঘটনা এখন প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছে গেরুয়া শিবিরকে। পাশাপাশি এই ঘটনায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও উস্কে উঠতে শুরু করেছে।

যদিও বা এই ব্যাপারে তৃণমূলের চক্রান্তকেই দেখতে পাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন এই প্রসঙ্গে চন্দ্রকোনা রোড পশ্চিম মন্ডলের সভাপতি হরেরাম সিং বলেন, “এসব তৃণমূলের চক্রান্ত। ওরা আমাদের হেয় করতেই এসব করছে। এর সঙ্গে গোষ্ঠী কোন্দলের কোনো ব্যাপার নেই।” একইভাবে এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মদন রুইদাস বলেন, “আমাদের দলের একটা শৃঙ্খলা রয়েছে। এসব তৃণমূল করেছে। আর আমাদের দলের কেউ করে থাকলে তা তৃণমূলের মদতে করেছে। সবই তৃণমূলের চক্রান্ত।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাস বলেন, “চন্দ্রকোনা রোডে নতুন পার্টি অফিস উদ্বোধন করতে চলেছি। তাই তৃণমূল চক্রান্ত করে এসব করছে। রাতের অন্ধকারে এসব করেছে। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে রাজি নই।” তবে বিজেপির তরফ এই গোটা ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তোলা হলেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে গড়বেতা 3 ব্লক তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আকাশদীপ সিংহ বলেন, “এতদিনে বিজেপি কর্মীরা নিজেদের নেতাদের চিনতে পেরেছেন। তৃণমূল এসব কাজ করে না। এখন নিজেদের কোন্দল ঢাকতে ওরা আমাদের নামে দোষ দিচ্ছে।” সব মিলিয়ে বিজেপি তৃণমূলের ঘাড়ে যতই দোষ দিক না কেন, মন্ডল সভাপতি নিয়ে যেভাবে জেলায় জেলায় বিজেপির অন্দরে সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে গড়বেতাতেও সেরকমই পরিস্থিতি তৈরি হল বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!