দলে নেই প্রাপ্য সম্মান! তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে একযোগে পদত্যাগ দুই প্রভাবশালী নেতানেত্রীর উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য August 31, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের দিকে লক্ষ রেখে শাসকদল তৃণমূল এখন যেনতেন প্রকারেন অন্য দল থেকে সদস্যদের ভাঙিয়ে এনে তৃণমূল দলভুক্ত করতে সদা ব্যস্ত। সেইসঙ্গে দলের প্রাক্তনীদেরও নানা সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ও পদের লোভ দেখিয়ে দলে ফিরিয়ে আনতে সদাব্যস্ত। কিন্তু এই আবহে শাসক দলের বেশ কিছু নেতা নেত্রী অভিযোগ করেছেন যে, তৃণমূল দলে সম্প্রতি নতুন সদস্যদের নিয়ে যতটা মাতামাতি হচ্ছে , তুলনায় দলের পুরোনো সদস্যদের মধ্যে অনেকেই তাদের প্রাপ্য মর্যাদা, গুরুত্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সে কারণেই তাদের মধ্যে কেউ কেউ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন শাসকদলের থেকে। অন্যদিকে গত ২০১৯ সালে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে রাজ্যে সমাজ সেবার মধ্যে দিয়ে মূলত রাজনৈতিক উদ্দেশ্য সিদ্ধ করতেই ‘জয় হিন্দ বাহিনী’ বলে একটি বিশেষ দল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়ি জেলার এই জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি ছিলেন বাবন পাল। সম্প্রতি তিনি এই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন। প্রসঙ্গত বাবন পাল জলপাইগুড়ি জেলার জয় হিন্দ বাহিনীর সভাপতি যেমন ছিলেন, তেমনি একাধারে তিনি ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার পদমতি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৬/২৪৬ নম্বর বুথের জনৈক্য পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর স্ত্রী শর্মিষ্ঠা পালও পদমতি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের সংশ্লিষ্ট বুথের পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। সম্প্রতি তাঁরা দুজনেই পঞ্চায়েত সমিতি থেকে ইস্তফা দিলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তৃণমূল দলের প্রতি অভিযোগের আঙুল তুলে তারা জানালেন যে, তারা দলের অনেক পুরোনো কর্মী হলেও সম্প্রতি দলে তারা নিজেদের প্রাপ্য সম্মান, মর্যাদা লাভ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ কারণেই তারা পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল দলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ও জয় হিন্দ বাহিনীর প্রাক্তন সভাপতি বাবন পাল জানালেন যে, গত একমাস আগেই তিনি জলপাইগুড়ি তৃণমূল জেলা সভাপতি কিষান কল্যাণীকে তাঁর পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করে পত্র পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু তার পত্রের উত্তরে কোন পত্র জেলা সভাপতি কিষান কল্যাণীর পক্ষ থেকে তাদের কাছে আসেনি। এ কারণেই গতকাল তিনি ও তার স্ত্রী নিজের ইচ্ছাতেই পঞ্চায়েত এর সদস্য পদ ত্যাগ করলেন। তবে এ প্রসঙ্গে তারা জানালেন যে, তৃণমূল দলে এখনো তাঁরা আছেন। পঞ্চায়েত সমিতির দুই সদস্য বাবন পাল ও শর্মিষ্ঠা পালের অকস্মাত্ পদত্যাগ সম্পর্কে জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি কিষান কল্যাণী জানিয়েছেন, ” বাবন পাল আমাকে চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু ওই চিঠির ব্যাপারে আমার কিছু করণীয় ছিল না।” আগামী বিধানসভা ভোটের নিরিখে তৃণমূল দলের রাজনৈতিক উপদেষ্টা পিকে যখন অন্য দল থেকে সদস্যদের ধরে শাসক দলে আন্তে ব্যস্ত, তখন শাসক দলের সদস্যের এভাবে দলের প্রতি বিমুখ হওয়ার ব্যাপারটি কিন্তু যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক মহল। আপনার মতামত জানান -