এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রভাবশালী নেতার অনুগামী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বড়সড় চুরির অভিযোগ! প্রভাবশালী নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ!

প্রভাবশালী নেতার অনুগামী তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বড়সড় চুরির অভিযোগ! প্রভাবশালী নেতাকে ঘিরে বিক্ষোভ!


মৎস্য চাষীদের জন্য লকডাউনের কথা মাথায় রেখে সরকারি তরফ থেকে পাঠানো হয় কয়েক শ’ বস্তা মাছের খাবার। এবার মাছের খাবার নিয়েও দুর্নীতি ধরা পড়লো রাজ্যে। জানা গেছে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে চলছিল এই দুর্নীতি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার দীঘিরপাড় নামক এলাকার প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা আতিয়ার রহমান সর্দারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়। জানা গেছে এই তৃণমূল নেতার সাথে পঞ্চায়েত সদস্য তথা তারই স্ত্রী আনজুরা বিবি হাত মিলিয়ে বেআইনি ভাবে এই কাজ চালাচ্ছিলেন।

এর আগেও বহু দুর্নীতির সাথে যুক্ত ছিলেন এই তৃণমূল নেতা। কিন্তু এই দম্পতি ক্যানিং – এর এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার অনুগামী এমনটাই সূত্রের খবর। আর সেই কারণে তাদের দুর্নীতি বারবার লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। কিন্তু এইবার বেআইনি ভাবে মাছের খবর চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে হয় প্রভাবশালী নেতাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে প্রতি বস্তায় ৫০ কেজি করে মাছের খাবার ছিল। সরকারি তরফ থেকে মৎস্য চাষীদের সেই বস্তা গুলি দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এদিকে প্রতি বস্তা মাছের খাবার ২২০০ টাকা করে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্র অনুযায়ী এদিন ওই খাবার বেআইনিভাবে বিক্রির সময় হাতেনাতে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। এরপর সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলতে থাকে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ সেই এলাকায় পৌঁছালে ওই তৃণমূল নেতাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে আতিয়ার রহমান সর্দার এদিন জানান,’চুরি করে মাছের খাবার বিক্রি করিনি। এলাকার মানুষ মিথ্যা অভিযোগ করছেন।’

অন্যদিকে এলাকার বাসিন্দা বাবলু শেখ রাজ্জাক তরফদারের কথায়, ‘গরিব মত্‍স্যজীবীদের দেওয়ার জন্য যে খাওয়া সরকারিভাবে দেওয়া হয়েছিল তা ২২০০ টাকা করে প্রতি বস্তা বিক্রি করছিলেন ওই নেতা। আমরা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলি। এবং পুলিশের হাতে তুলে দিই।’ জানা গেছে এদিন বিক্ষোভ চলতে থাকে প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে। গ্রামবাসীরা অভিযুক্তকে মারধর ও করেন বলে জানা যায়। এরপর পুলিশ এলে স্থানীয়রা পুলিশের হাতে ওই নেতা সহ আরও দুই অভিযুক্তকে তুলে দেয়। তাদের আটক করে পুলিশ এমনটাই সূত্রের খবর।

অন্যদিকে ক্যানিং – এর মৎস্য আধিকারিকের চোখে ধুলো দিয়ে এই বেআইনি কারবার চলার কারণে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় ওই ব্লকের মৎস্য আধিকারিক অরুণ দেবকে। ‘যে খাবারগুলো চুরি করে বিক্রি হচ্ছিল তা সুন্দরবন উন্নয়ন পর্ষদ থেকে পাওয়া মাছের খাবার।’ এদিন এমনটাই জানান ক্যানিং ব্লকের মৎস্য আধিকারিক অরুণ দেব।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!