এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘প্রধান বক্তা’ বলে প্রচার করে জনসভা আয়োজন করলেও সভায় এলেনই না তৃণমূল নেত্রী

‘প্রধান বক্তা’ বলে প্রচার করে জনসভা আয়োজন করলেও সভায় এলেনই না তৃণমূল নেত্রী

আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসার সাথে সাথেই তৎপরতা শুরু হয়ে গেছে শাসকদলের। নদীয়া জেলায় কাজ শুরু করেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। অন্যদিকে নদীয়া জেলায় দলের মধ্যেই ব্যাপক বিক্ষুব্ধ মনোভাবাপন্ন কর্মী রয়েছেন বলে আগেই জানা গিয়েছিল। আর সে পরিচয় এদিন পেলেন মহুয়া মৈত্র। পাশাপাশি সোমবার নদীয়া জেলার কালীগঞ্জে তৃণমূলের সভায় মহুয়া মৈত্র প্রধান বক্তা হিসেবে উল্লেখ থাকলেও তিনি সভাতেই উপস্হিত হননি। এই নিয়েও উপস্থিত তৃণমূল কর্মীদের ক্ষুব্ধ হতে দেখা যায়।

সোমবার কালীগঞ্জের মাটিয়ারি রামসীতা মন্দিরের মাঠে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি জনসভার আয়োজন করা হয় এবং এই সভায় উপস্থিত থাকার কথা ছিল সভানেত্রী মহুয়া মৈত্রর। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল অন্য ছবি। তৃণমূল নেত্রী কালীগঞ্জের সভাতে তো এলেনই না বরং ব্যস্ত রইলেন দক্ষিণ নদীয়ার বেশ কয়েকটি কর্মীসভা নিয়ে। এরমধ্যে আবার শিলিন্দায় কর্মীসভায় বেশকিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী সভা ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন। সবমিলিয়ে সোমবার নদীয়া জেলার তৃণমূলের শুরুটা মোটেই ভাল হল না বলে মত বিশেষজ্ঞদের। রবিবার থেকেই মহুয়া মৈত্রকে নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রবিবার ছিল গয়েশপুরের সুকান্ত সদনে একটি তৃণমূলের কর্মীসভা।

কিন্তু তার আগেই শহর তৃণমূল সভাপতি সুকান্ত চট্টোপাধ্যায়কে ‘বহিরাগত’ আখ্যা দিয়ে দলের বেশ কিছু কর্মী, সমর্থক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তৃণমূলের একাংশ কর্মী বলতে থাকেন, সুকান্ত চট্টোপাধ্যায় নিজের ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত থাকেন সব সময়। তাঁকে কল্যাণী মেইন স্টেশনের কাছে ডিসি বিল্ডিং এর সামনে পাওয়া যায়। মানুষকে সেখানে গিয়ে তাঁর সাথে কথা বলতে হয়। মহুয়া মৈত্র এইসব ক্ষোভকে একপাশে সরিয়ে রেখে পাল্টা বিক্ষোভকারীদের ধমক দেন ওখানেই আবার বেশ কিছু সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ছাড়াও কয়েকটি নিউজ পোর্টালের কর্মীরাও ছিলেন, যাদের সবাইকে দেখে মহুয়া মৈত্র মেজাজ ঠিক রাখতে পারেন না।

এবং সেখানে তাঁকে বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা যায়। তিনি প্রেসকে ‘দু’পয়সার প্রেস’ বলে কটাক্ষ করেন। তাই নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল। সোমবার প্রেসক্লাব কলকাতা থেকে লিখিত বিবৃতিতে মহুয়া মৈত্রকে ধিক্কার দেওয়া হয় বলে জানা গেছে। এবং তারপরেই টুইট করে মহুয়া ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তবে তার সাথেই তিনি জানিয়েছেন একশ্রেণীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এধরনের মন্তব্য করেছিলেন। এবং একশ্রেণীর নেতাকর্মীদের যে টিভিতে মুখ দেখানো একমাত্র উদ্দেশ্য সে ব্যাপারেও মহুয়া মৈত্র নিশ্চিত। অন্যদিকে কালীগঞ্জের জনসভায় মহুয়া মৈত্র কি বলবেন, তা নিয়েও ছিল কৌতুহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তার বদলে সভায় বক্তব্য রাখেন কারা মন্ত্রী তথা জেলা কমিটির চেয়ারম্যান উজ্জ্বল বিশ্বাস, স্থানীয় বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখরা। যথারীতি স্থানীয় নেতাকর্মীদের একাংশ যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে বলে জানা যাচ্ছে। তবে তৃণমূলের কালীগঞ্জ ব্লক সভাপতি দেবব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রধান বক্তা হিসেবে মহুয়া মৈত্রর নাম ভুল করে কিছু কর্মী বলে ফেলে। কারণ, মহুয়া মৈত্রর আসার কথা ছিল না। মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস জানিয়েছেন, মহুয়া মৈত্র যে নদীয়া জেলার দক্ষিণে দলীয় কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন এবং সে কারণেই তিনি কালীগঞ্জে আসতে পারবেন না সে কথা তাঁকে আগেই জানিয়েছিলেন।

তৃণমূল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন চাকদা ব্লক এর শিলিন্দা 1 ও 2, তাতলা 1 ও 2 এবং দুবরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব জায়গাতেই উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। প্রসঙ্গত জানা গিয়েছে, কৃষ্ণগোপাল হাইস্কুলে শিলিন্দা 1 গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীসভায় বেশ কয়েকজন কর্মী সভা ছেড়ে বেরিয়ে যান ক্ষুব্ধ হয়ে। পরে চাকদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি দিলীপ সরকার জানান, সব জায়গাতেই শান্তিপূর্ণভাবে সভা করা গেছে। বেশ কিছুদিন যাবৎ তৃণমূলে ব্যাপক ভাবে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।

যা নিয়ে তৃণমূল শিবির যথেষ্ট চিন্তিত। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, একাধিক জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আভাস পেয়ে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন। কারণ, তাঁর ওপর তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দায়িত্ব দিয়েছেন নদীয়া জেলার। তবে প্রধান বক্তা হিসেবে নাম থাকলেও যেভাবে জনসভায় অনুপস্হিত রইলেন মহুয়া মৈত্র, তা নিয়ে কিন্তু ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। তবে সভায় অনুপস্থিত থাকা নিয়ে মহুয়া মৈত্র ইতিমধ্যেই তার যুক্তি পেশ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!