এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > প্লাস্টিক নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নিজেই শুরু করলেন প্লাস্টিক বর্জন,জোর বিতর্ক

প্লাস্টিক নিয়েই প্রধানমন্ত্রী নিজেই শুরু করলেন প্লাস্টিক বর্জন,জোর বিতর্ক

দিনদিন পৃথিবীর আবহাওয়া হয়ে উঠছে উত্তপ্ত। গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর জেরে পৃথিবীর আয়ু কমতে শুরু করেছে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর প্রধান কারণ হলো সবুজ নিধন ও প্লাস্টিকের বাড়বাড়ন্ত। বর্তমানে বেশ কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের চোখে এসেছে। যেখানে সামুদ্রিক প্রাণী, পাখি, স্হলচর প্রাণী ইত‍্যাদিরা প্লাস্টিক খেয়ে ফেলছে। যার ফলে তারা মৃত্যুবরণ করছে। পরিবেশের ভারসাম্য ক্রমাগত নষ্ট করে দিচ্ছে এই প্লাস্টিক। প্লাস্টিক বর্জনের জন্য বহুদিন ধরেই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি আওয়াজ তুলেছেন। এবার প্লাস্টিকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ হিসেবে তিনি নিজেই সমুদ্রতট থেকে প্লাস্টিক কুড়োনোর কাজ শুরু করলেন।

প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন পুরো সমুদ্রতটের প্লাস্টিক কুড়ানোর কাজে নামলেন। যদিও তিনি হাতে একটি প্লাস্টিক নিয়ে বর্জ্য প্লাস্টিক গুলি হাতের প্লাস্টিকের মধ‍্যে রাখছিলেন। এবং সেটি কারো নজর এড়ায়নি বরং তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে ও সমালোচনার সূত্রপাত হয়েছে।

শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রাতঃভ্রমনের সময় হাতে প্লাস্টিক নিয়ে সৈকত থেকে প্লাস্টিক সংগ্রহ করে রাখছিলেন। প্লাস্টিক মুক্ত দেশ গড়ার জন্য তিনি দেশবাসীকে এভাবেই অনুপ্রেরণা দান করতে চাইছিলেন। এ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে টুইটারে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, যিনি প্লাস্টিক মুক্ত পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চলেছেন, তিনি নিজেই প্লাস্টিক ব্যবহার করছেন। এইরকম পরস্পরবিরোধী ছবি দেখার পরেই নেটিজেনদের একাংশ তীব্র কটাক্ষ করেছে। টুইটার ভরে গেছে প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায়। অনেকেই প্রশ্ন করছেন, প্রধানমন্ত্রী এভাবে কি কোন প্লাস্টিক বিরোধী সদর্থক বার্তা দিতে পারছেন? আবার অনেকেই পরামর্শের সুরে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী আগে তাঁর নিজের কেন্দ্র বারাণসীর দিকে নজর দিক, তারপরে অন্যদিকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ‍্যে সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা ভরে উঠেছে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বেশ কড়া কটাক্ষে। প্লাস্টিক হাতে প্লাস্টিক মুক্ত দেশ গড়ার যে আহ্বান প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন এই ভিডিওটির মাধ্যমে, সেটি জনমানসে কতটা সদর্থক প্রভাব পড়বে সে নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। অনেকেই বলছেন, প্রধানমন্ত্রী যদি প্লাস্টিক হাতে প্লাস্টিক কোড়ান, তাহলে প্লাস্টিক মুক্তির পথ কিভাবে বেরোবে, তা নিয়ে প্রশ্ন আসবেই। তবে নিন্দুকদের কথা সরিয়ে রেখে এটাতো নিঃসন্দেহে বলা যায়, মামাল্লাপুরাম সৈকতে 30 মিনিট ধরে ঘুরে ঘুরে ছোট-বড় প্লাস্টিক সরিয়ে ফেলা কোন মুখের কথা নয়। আর এই সাফাই কাজ দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন করছেন তখন তা নিশ্চিত ভাবেই একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে দেশের মানুষের কাছে। এ নিয়ে কোনো দ্বিমত থাকাই উচিত নয়।

যদিও প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বিরোধীরাও তাদের মতামত ব্যক্ত করেছেন। বিরোধীদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এই সম্পূর্ণ কাজটাই ভোট বাক্সের কথা মাথায় রেখে করা। একটা গিমিক বলা চলে। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ধরে নেওয়া যাক প্রধানমন্ত্রী গিমিক দিচ্ছেন। কিন্তু সেই গিমিক এর মাধ্যমেও যদি 30 কিলোমিটারের প্লাস্টিক পরিষ্কার হয় তাহলে তাতে ক্ষতি কি! সেটুকুও যদি সবাই করে তাহলেও কিন্তু আমাদের পৃথিবী প্লাস্টিক মুক্ত হয়ে উঠবে। পৃথিবীর ভারসাম্য বজায় থাকবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!