এবার টুইটারে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ঝাঁঝালো আক্রমণ করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা জাতীয় January 3, 2020 সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন, জাতীয় নাগরিকপঞ্জি এবং জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টার নিয়ে বিভিন্ন ব্যাখ্যার সাথে সাথে পরস্পরবিরোধী বেশকিছু তথ্য উঠে এসেছে। এবং তার সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে ধোঁয়াশা। দিন দিন এই বিভ্রান্তি যত বাড়ছে, ততই সারা দেশে তুমুল আন্দোলনের ঝাঁঝও বাড়ছে বলে খবর। অন্যদিকে, এনআরসি ও সিএএ নিয়ে এবং এনপিআরের বিরোধিতায় টানা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে দেশের অবিজেপি রাজ্যগুলি, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও কেরালার নাম প্রথম সারিতে উঠে এসেছে। এই নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি এবার সমালোচনা শুরু করেছেন। সম্প্রতি কর্নাটকে বিজেপির সভায় কংগ্রেসসহ অন্যান্য বিরোধীদের নাগরিকত্ব আইন ইস্যুতে সমালোচনা চালান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঠিক সেই সময়ই সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা নরেন্দ্র মোদির বিরোধিতা করলেন। এ দিন টুইটারে প্রিয়াঙ্কা লিখলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মোদির নিজের কেন্দ্র বারাণসীতে 365 দিনের মধ্যে 359 দিন 144 ধারা।’ প্রিয়াঙ্কা আরো বলেন ‘২০১৯ সালে ৩৬৫ দিনের মধ্যে ৩৫৯ দিন বারাণসীতে ১৪৪ ধারা জারি ছিল। বারাণসী মোদির নিজের লোকসভা কেন্দ্র। তিনিই বলেন, বারাণসীতে ভয়ের কিছু নেই।’ এই 144 ধারা আসলে কি তা একটু জেনে নেওয়া যাক। 144 ধারায় সরকার পাঁচ বা তার বেশি সংখ্যক ব্যক্তির জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। অথবা মোবাইল ফোন সংস্থাগুলিকেকোন ছোট বা বড় জায়গা ঘিরে ফোন কল, এসএমএস কিংবা ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। শুধু তাই নয়, 144 ধারা জারি হলে কোন অসামরিক ব্যক্তি যদি লাঠি বা ধারালো অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে জনবহুল জায়গায় যান তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। শুধুমাত্র নিরাপত্তা বাহিনী, আধাসামরিক বাহিনী বা পুলিশের সাথে অস্ত্র থাকবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, নরেন্দ্র মোদী কর্নাটকে এদিন নাগরিক ইস্যুতে বিরোধী দলগুলিকে তুলধোনা করে বলেন, পাকিস্তানের নির্যাতিত শরণার্থীদের শুধুমাত্র স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্র আর তা করতে গিয়েই যে আইন প্রয়োগ করতে হয়, তাই করতে করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু কংগ্রেস এবং তার সঙ্গীরা ক্রমাগত বিরোধিতা করে চলেছে এই আইনের। এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন’পাকিস্তান তৈরিই হয়েছিল ধর্মের ভিত্তিতে। তাই হিন্দু, শিখ, পার্সি, জৈন, খ্রিস্টানদের মতো সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন দিনের পর দিন বেড়েছে পাকিস্তানে। কিন্তু কংগ্রেস ও তার বন্ধু দলেরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলতে চান না।’ ইতিমধ্যে দেশজুড়ে এনআরসি কার্যকর করা নিয়ে যে বিলটি পাস হয়েছে, তা নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু করেছে বিরোধীরা। শুধু তাই নয়, দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তীব্র বিক্ষোভ চলছে। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিপরীত মন্তব্যের অভিযোগ তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, নতুন নাগরিকত্ব আইন এবং প্রস্তাবিত নাগরিক পঞ্জির বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের প্রভাব পড়েছে কেন্দ্রীয় মহলে। আপাতত সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -