চীনকে গুরুত্ত্ব দিতে গিয়ে বড়সড় বিপাকে নেপালের প্রধানমন্ত্রী, জেনে নিন আন্তর্জাতিক রাজনীতি June 26, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নেপাল ভারতের প্রতিবেশী দেশ। এতদিন পর্যন্ত বেশ শান্তিপূর্ণভাবেই প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে নেপাল সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্কও যথেষ্ট তলানীতে এসে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। এর কারণ হিসেবে সীমান্ত নিয়ে নেপালের সঙ্গে ভারতের সংঘাত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি জানা গেছে, ভারতের বেশ কিছু জায়গায় উপর অধিকার দাবি করে নেপাল বারবার সংঘাতের রাস্তা ধরছে। এমনকি নেপাল নিজেদের দেশের নতুন মানচিত্র যেটি বার করেছে, তাতে ভারতের বহু জায়গা সেখানে স্থান পেয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক খবর হলো, নেপালের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত সংঘাত। ইতিমধ্যেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির পদত্যাগ দাবি করছেন তাঁরই দলের অনেকেই। যার মধ্যে পুষ্প কমল দাহাল এর নাম রয়েছে সবার আগে। প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির বিরুদ্ধে পুষ্প কমল দাহাল অভিযোগ এনেছেন, নেপালের প্রধানমন্ত্রী সমস্ত ইস্যুতেই ব্যর্থ আর তাই তাঁকে সমর্থন করার কোন প্রশ্নই নেই। বরং নেপালের প্রধানমন্ত্রীর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পদত্যাগ করা উচিত। উল্লেখ্য, পুষ্প কমল দাহাল ওরফে প্রচণ্ড নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি বলে পরিচিত। অন্যদিকে পুষ্প কমল দাহাল সরাসরি হুমকি দিয়েছেন, যদি নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করেন তাহলে তিনি দল ভাগ করে দেবেন। প্রসঙ্গত, পুষ্প কমল দাহাল নেপালের প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া সমর্থন নিয়ে তাঁর ভুল স্বীকার করেছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে পুষ্প কমল দাহালকে দলের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সমর্থন করেছেন বলে খবর। নেপালের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংঘাত এতটাই চরমে উঠেছে যে সেখানে নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির সম্পাদক মন্ডলী স্থায়ী কমিটিতে সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও নেপালের প্রধানমন্ত্রী এখনো পর্যন্ত এই রাজনৈতিক সংঘাতের কথা স্বীকার করেননি বলে জানা গেছে। অন্যদিকে নেপালের প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস সাংসদরা সংসদে প্রতিনিধি সভায় একটি প্রস্তাব পেশ করেছেন। যেখানে বলা হচ্ছে, নেপালের যে অংশগুলি চীনের হাতে বেদখল হয়ে গেছে সেগুলো কি করে ফেরত নেওয়া যাবে এবং সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি কি তা সংসদে প্রকাশ করতে হবে। অন্যদিকে ভারতের সঙ্গে নেপালের সম্পর্ক এই মুহূর্তে তলানিতে এসে ঠেকেছে। কারণ চলতি মাসে যে নয়া মানচিত্র বিল নেপাল সরকার পাস করিয়েছে, সেখানে ভারতের বহু জায়গা তাঁরা নিজেদের অঞ্চল বলে দাবি জানিয়েছে। আর তাতেই কড়া মনোভাব দেখিয়েছে ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, নেপালের বহু জায়গা চীন কিন্তু ইতিমধ্যেই অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু তা নিয়ে নেপাল সরকার এখনো কোনো উচ্চবাচ্য করেনি এমনকি এই নিয়ে কোনো পদক্ষেপও গ্রহণ করেনি। এমনকি নেপালের প্রধানমন্ত্রীর কোন মন্তব্যও শোনা যায়নি। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, নেপাল এই মুহূর্তে যদি তাঁদের আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিবাদ সামলাতে না পারে, তাহলে পরবর্তীতে এই পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠবে। অতএব এই ঘোরতর রাজনৈতিক জটিল পরিস্থিতি সামলাতে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেদিকে কিন্তু নজর থাকবে সমস্ত আন্তর্জাতিক মহলের। আপনার মতামত জানান -