এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির

প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে। এই অবস্থায় বিভিন্ন রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে নিয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন করেছিলেন। যার মধ্যে বাংলার নামও ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রীদের ওই বৈঠকে যুক্ত করা হয়। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে আসার পর গতকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়াল বৈঠকেই সামনাসামনি হন। কিন্তু এই বৈঠক শেষ হবার পর তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন।

পাশাপাশি কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী তীব্রভাবে বঞ্চনার অভিযোগ করেন। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকে জানান, মুখ্যমন্ত্রীদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া ভার্চুয়াল বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা বললেও কোন মুখ্যমন্ত্রীকেই কথা বলতে দেওয়া হয়নি। এক্ষেত্রে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ডেকে অপমান করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীদের। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবার পাল্টা প্রধানমন্ত্রী মোদির হয়ে কথা বলতে এগিয়ে এসেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। দুজনেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অহেতুক রাজনীতি করার অভিযোগ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবি শংকর প্রসাদ এ দিন জানান, প্রধানমন্ত্রী এবং জেলাশাসকদের মধ্যে যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল তা কাজ নিয়ে আলোচনা করার জন্য। সে ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে এই বৈঠককে নিয়ে রাজনৈতিক আচরণ করলেন তা যথেষ্ট অশোভনীয়। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ অভিযোগ করেন, উত্তর 24 পরগনার জেলা প্রশাসককে কোন কথা বলতে দেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিনি যেহেতু উপস্থিত ছিলেন তাই জেলাশাসকদের সামনে আনা হয়নি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ প্রশ্ন তুলেছেন, জেলা শাসকরা ভালো কাজ করলে কি প্রধানমন্ত্রী তাঁদের সাথে কথা বলতে পারবেন না?

একই সাথে তিনি অভিযোগ করেছেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া বেশ কয়েকটি বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও পাল্টা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আচরণ করেছেন, তা যথেষ্ট লজ্জাজনক। তিনিও একইভাবে বলেছেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বেশ কয়েকটি বৈঠকে গরহাজির ছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে গতকালের বৈঠক নিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের চাপানউতোর তুঙ্গে। ভার্চুয়াল বৈঠকে কথা বলতে না পেরে ইতিমধ্যেই নিজের দাবী চিঠির মাধ্যমে পৌছে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!