এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রধানমন্ত্রীর সভায় হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের দলবদলের জোর ইঙ্গিত, রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন

প্রধানমন্ত্রীর সভায় হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদের দলবদলের জোর ইঙ্গিত, রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের সম্পর্ক চুকেবুকে গেছে কোন কালে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছেন গত ডিসেম্বরে। দাদা শুভেন্দু অধিকারীর সাথে সাথেই সেসময় তৃণমূল ছেড়েছিলেন তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। শেষ পর্যন্ত অধিকারী পরিবারের কর্তা শিশির অধিকারীও গতকাল দল ছাড়লেন।

বাকি শুধু শুভেন্দু অধিকারীর বড় ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী। এখনো পর্যন্ত তিনি অবশ্য তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেননি যদিও। কিন্তু বোঝাই যাচ্ছে, তাঁর ক্রমশ গেরুয়া শিবিরের দিকেই ঝোঁক বাড়ছে। আগামী 24 তারিখ মেদিনীপুরের কাঁথিতে সভা করতে আসছেন আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এবং এই সভাতেই উপস্থিত থাকতে চলেছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। জোরদার জল্পনা চলছে, বাবা ও দুই ভাইয়ের পর কি এবার দিব্যেন্দু প্রধানমন্ত্রীর মঞ্চ থেকে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেবেন? সূত্রের খবর, বিজেপির তরফ থেকে ইতিমধ্যেই সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে আমন্ত্রণ পত্র পাঠানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সভায় উপস্থিত থাকার জন্য। 

রবিবার অমিত শাহের সভা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করলেন শিশির অধিকারী। এই অমিত শাহের সভা থেকেই একসময় বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন রাজ্যের অন্যতম তৃণমূল সাংসদ তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তখন থেকেই কানাঘুষো চলছিল অধিকারী পরিবারের বাকি সদস্যদের নিয়ে।

সবাই ইতিমধ্যেই মোটামুটি চলে এসেছেন পদ্মফুলের আশ্রয়ে। শুধুমাত্র দিব্যেন্দু অধিকারি এখনো পর্যন্ত সাংসদ হিসেবে রয়ে গিয়েছেন তৃণমূলে। উল্লেখ্য, ফেব্রুয়ারি মাসে একসঙ্গে আটটি প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। আটটি হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান তিনি। 

একইসাথে স্বাস্থ্য দপ্তরের মনোনীত সরকারি প্রতিনিধি পদও ছেড়ে দেন। খুব স্বাভাবিকভাবেই দিব্যেন্দু অধিকারীর দলবদলের জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে বহুদিন ধরে। কিন্তু সময় কেটে গেলেও এখনো পর্যন্ত তৃণমূল ছাড়েননি দিব্যেন্দু। অথচ তৃণমূল থেকেই তিনি কখনো দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন, কখনো বিজেপি নেতাদের সঙ্গে একই মঞ্চে উঠেছেন। 

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে কোনদিনই দিব্যেন্দু অধিকারীকে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে কিছু বলতে দেখা যায়নি। বরং তিনি শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ায় তীব্র কটাক্ষ করে বলেছিলেন, তিনি দিদির অনুগামী। বিধানসভার নির্বাচন যখন শিয়রে, তখন তমলুকের কাঁথিতে বড়োসড়ো সভা করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দলীয় প্রচারে তিনি আসছেন বলে জানা গিয়েছে।

আর সেখানেই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদের উপস্থিতি অবশ্যই দলবদলের দিকে বারবার ইঙ্গিত করছে। প্রসঙ্গত, বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরেই শুভেন্দু অধিকারী প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নন্দীগ্রাম থেকে। যথারীতি নন্দীগ্রাম এবারের নির্বাচনে হেভিওয়েট কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী 24 শে মার্চ প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে অধিকারী পরিবারের সম্পূর্ণ গৈরিকীকরণ হতে চলেছে  বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!