এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > প্রদীপের নীচের অন্ধকার কি এখন গেরুয়া শিবিরে? নতুনদের দাপটে পুরোনোরা কি কোণঠাসা?

প্রদীপের নীচের অন্ধকার কি এখন গেরুয়া শিবিরে? নতুনদের দাপটে পুরোনোরা কি কোণঠাসা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের লড়াই যখন তুঙ্গে, সেসময় গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে কিন্তু যারা সামনের সারিতে এসে লড়াই চালাচ্ছেন, তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল শিবির ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যাওয়া নেতা। যাদের মধ্যে বর্তমানে গেরুয়া শিবিরের ময়দানে অহরহ দেখা যাচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এবারের বিধানসভা নির্বাচনে শুভেন্দু-রাজীবকে যে গেরুয়া শিবির কাজে লাগাতে যাচ্ছে, তা পরিষ্কার। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে সেই সব নেতাদের নিয়ে, যারা শুরু থেকে গেরুয়া শিবিরের হয়ে লড়াই চালিয়েছেন। নির্বাচন সামনে এলেও সামনে নেই রাহুল সিনহা বা সায়ন্তন বসুর মতন অনেক বিজেপি নেতা।

তৃণমূল থেকে চলে আসা নেতারাই বর্তমানে গেরুয়া শিবিরের অন্যতম লড়াকু সেনার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। তৃণমূল ত্যাগী নেতারাই কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বের কাছে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে কিন্তু তৃণমূল থেকে চলে আসা মুকুল রায় ছিলেন গেরুয়া শিবিরের ট্রাম্পকার্ড। মুকুলের হাত ধরে লোকসভা নির্বাচনে 2 থেকে 18 য় পৌঁছে গিয়েছিল রাজ্যে বিজেপি। পাশাপাশি সংগঠনের জোর যে বেড়েছে তা বলা নিষ্প্রয়োজনীয়। কিন্তু একুশের বিধানসভা নির্বাচনে মুকুল রায়কে ততটা ব্যবহার করা হচ্ছেনা বলে শোনা যাচ্ছে। স্বয়ং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি নিজে এ নিয়ে দিল্লীর দরবারে নালিশ ঠুকেছেন বলে খবর।

দিলীপ ঘোষ রাজ্য সভাপতি হিসেবে থাকলেও রাহুল সিনহা কিংবা সায়ন্তন বসুদের মতন পুরনো বা আদি নেতারা কিন্তু ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছেন বলে দাবী বিশেষজ্ঞদের। রাহুল সিনহা একটা সময় ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। তারপর কেন্দ্রীয় সম্পাদকের পদেও ছিলেন তিনি দীর্ঘদিন। কিন্তু পরবর্তীতে মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতার কারণে তাঁকে পদ খোয়াতে হয়। যথারীতি বর্তমানে রাহুল সিনহা চলে গেছেন পর্দার আড়ালে। আগে বিজেপির সামনের সারিতে দেখা যেত বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুকে। কিন্তু শুভেন্দু রাজীব আসার পর থেকে সায়ন্তন বসু অনেকটাই পিছনে পড়ে গেছেন। এই মুহূর্তে সায়ন্তন বসুকে উত্তরবঙ্গের দায়িত্ব দিয়ে সেখানে পাঠানো হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বর্তমানে বিজেপির মুখপাত্র হিসেবে দেখা যাচ্ছে শমীক ভট্টাচার্যকে। তবে শুধুমাত্র সাংবাদিক সম্মেলনে। আর তার কারণ শমীক ভট্টাচার্যের অসাধারণ বাগ্মিতা। কিন্তু জনসভায় শমীক ভট্টাচার্যকে ব্যবহার করা হচ্ছেনা বলে দাবী গেরুয়া শিবিরের একাংশের। গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বিভিন্ন জনসভায় থাকলেও প্রধান ভূমিকায় কিন্তু শুভেন্দু রাজীবকেই দেখা যাচ্ছে। পাশাপাশি মুকুল রায়ের থেকে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে শোভন-বৈশাখীকে। এই ঘটনা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গেরুয়া শিবিরে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে গেরুয়া শিবিরের কোন্দলের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।

আদি এবং নব্যদের দ্বন্দ্বের কারণে দলবদল বন্ধ হয়ে গেছে গেরুয়া শিবিরে। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরে বেসুরো বিধায়কদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করতে চলেছে শুভেন্দু এবং রাজীবকে। পাশাপাশি রাজনৈতিকভাবে বিজেপির স্পটলাইটে উদ্ভাসিত তাঁরাই। গেরুয়া শিবিরের পুরোনো নেতারা সেক্ষেত্রে ব্রাত্য হয়ে দূরে সরে যাচ্ছেন ধীরে ধীরে বলে অনুমান রাজনীতির কারবারীদের। গেরুয়া শিবিরের নেতারা দলের বর্তমান পরিস্থিতি কতটা মেনে চলতে পারেন, তা বোঝা যাবে প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!