প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কথায় বলে, লঙ্কায় যে আসে সেই হয় রাবণ। এই কথাটা বোধহয় এবার তৃণমূলের জন্য খেটে গেল। রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের বেশ কিছু নেতা দল এবং প্রশাসনকে একসাথে জুড়ে যেভাবে মন্তব্য করছেন, তা যথেষ্ট অস্বস্তিজনক। বুধবার তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ঘিরে উত্তাল হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। আর সেই অস্বস্তি কাটতে না কাটতেই নতুন অস্বস্তি উপস্থিত। কার্যত এবার দলের এক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার বক্তব্য সোশ্যাল-মিডিয়ায় ভাইরাল হল।

এবং তারপরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে চরম অস্বস্তি। তড়িঘড়ি শাসক দল পরিস্থিতি সামাল দিতে জানিয়েছে, এধরনের মন্তব্য কখনোই তৃণমূল সমর্থন করেনা। তবে এই মন্তব্য ঘিরে জমে উঠেছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। গত কয়েকদিন ধরেই ভাঙরে গন্ডগোল চলছে আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার ডায়মন্ড হারবার-যাদবপুরের সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি অভীক মজুমদার রীতিমতো প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন।

তিনি একটি সভায় দাঁড়িয়ে রীতিমতন বলেছেন, আইএসএফকে পেছন থেকে যারা সাহায্য করছেন তাঁদের প্রত্যেককেই চিহ্নিত করা হবে। এরপরই তিনি বিতর্কিতভাবে বলেন, রাজ্যে তৃণমূল সরকার এবং প্রশাসন তৃণমূলের। তাই ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে বুঝে নেওয়ার হুমকি দেন তিনি। খুব স্বাভাবিক ভাবেই অভীক মজুমদারের এই মন্তব্য মোটেই ভালো চোখে দেখছে না রাজনৈতিক মহল। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ইতিমধ্যেই ভিডিও হয়েছে ভাইরাল। আর তারপরে শোরগোল পড়ে যায়।

ইতিমধ্যেই অস্বস্তি সামাল দিতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক শওকত মোল্লা জানিয়েছেন, এ ধরনের কথাকে কখনোই দল সমর্থন করেনা। দল এবং প্রশাসন কখনো এক নয়। ফলে এহেন মন্তব্য করার আগে সতর্ক হওয়ার বার্তা দিয়েছে এবার শাসক দল। তবে পুর নির্বাচনের আগে এই ঘটনা যে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দিল সে কথা বলাই বাহুল্য। এই কথার দায় শাসক দল তৃণমূল না নিলেও দলের অস্বস্তি কিন্তু তুঙ্গে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার শীর্ষ নেতৃত্ব কি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে, সে দিকেই থাকবে নজর।