প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  ভুয়ো টিকা কাণ্ডের পর থেকেই একের পর এক প্রতারণার ঘটনার পর্দা ফাঁস হতে শুরু করেছে গোটা রাজ্যজুড়ে। একের পর এক ব্যক্তি ভুয়ো সংস্থা থেকে শুরু করে ভুয়ো পদ ব্যবহার করে নিজেদের প্রভাব খাটাতেন বলে নানা তথ্য সামনে আসতে শুরু করেছে। যা নিয়ে রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। কিন্তু এবার উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উঠল ভয়াবহ অভিযোগ। যেখানে কেন্দ্রীয় আধিকারিকের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠল তার বিরুদ্ধে।

স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। এতদিন ভুয়ো টিকা কান্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর আরও অনেক ভুয়ো ঘটনা সামনে এসেছিল। কিন্তু সেভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ পদাধিকারী যে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হবেন, সেই রকম কোনো ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনি। কিন্তু এবার শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের প্রতারণার পর্দা ফাঁস হওয়ায় রীতিমতো হতচকিত রাজ্যবাসী।

জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান বেঞ্জামিন হেমব্রম প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত। বেশ কিছুদিন ধরে ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের নাম নিয়ে বহু মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকাও তুলেছেন এই ব্যক্তি। সম্প্রতি এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। গ্রেফতার করা হয় তাকে। স্বাভাবিকভাবেই বেঞ্জামিন হেমব্রম একসময় উত্তর দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। কিন্তু সেই তিনি কেন এই রকম প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত হলেন, এখন তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

একাংশ বলছেন, এই বেঞ্জামিন হেমব্রমের সঙ্গে শাসকদলের ব্যাপক ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এই গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু হলে অনেকটাই চাপে পড়ে যাবেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বরা। বলা বাহুল্য, ভুয়ো টিকা কান্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই এর পেছনে তৃণমূল শাসকদলের ইন্ধন রয়েছে বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টিকে। তার পরবর্তীতে সেই ঘটনায় ধৃত দেবাঞ্জন দেবের সঙ্গে তৃণমূলের অনেক নেতা এবং পদাধিকারীদের ছবি প্রকাশ্যে আসে। যা ব্যাপক সমস্যার মুখে ফেলে দেয় ঘাসফুল শিবিরকে।

আর এবার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যানের যেভাবে প্রতারণা কাণ্ডে জড়িত হওয়ার খবর পাওয়া গেল, তাতে রীতিমতো চাপে পড়ে গেল রাজ্য প্রশাসন। হেভিওয়েট ব্যক্তিরাও যদি এইভাবে প্রতারণা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হতে শুরু করেন, তাহলে স্বচ্ছতা কি করে বজায় থাকবে, এখন সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।