প্রাক্তন মন্ত্রী ও অন্যদল থেকে আগত প্রভাবশালী বিধায়কের লড়াই থামার ইঙ্গিতে স্বস্তি তৃণমূলে! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য January 18, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মালদহ জেলার কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং নীহার রঞ্জন ঘোষের দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন সময়ে এই দুই হেভিওয়েটের দ্বন্দ্বের কারণে তৃণমূল কংগ্রেস যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে। একে অপরের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছেন তারা। যা দলের বিড়ম্বনা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের আগে সেই কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং নীহার রঞ্জন ঘোষকে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই এবার কি এই দুই হেভিওয়েটের দ্বন্দ্ব কার্যত শেষের মুখে! যদি তা বাস্তব হয়, তাহলে তৃণমূলের কাছে খুশির শেষ থাকবে না বলেই মনে করছেন একাংশ। মাঝে মধ্যেই এই নীহাররঞ্জন ঘোষ এবং কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর দ্বন্দ্বের কারণে ইংরেজবাজার শহরে তৃণমূলকে অস্বস্তির মুখে পড়তে হয়েছে। তাই সংগঠনকে যাতে সঠিকভাবে চালানো যায়, তার জন্য এই দুই নেতাকে গুরুদায়িত্ব দেওয়ায় অনেকটাই লাভবান হবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে মনে করছেন একাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে মালদহ জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। অন্যদিকে ইংরেজবাজারের বিধায়ক তথা পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান নীহার রঞ্জন ঘোষকে জেলার কোর কমিটিতে নিয়ে আসা হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যে দুই নেতার মধ্যে এত দ্বন্দ্ব, তাদের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়ায় প্রকাশ্যে লড়াই অনেকটাই বন্ধ হয়ে যাবে বলে মনে করছেন একাংশ। যেহেতু তারা এখন জেলায় গুরু দায়িত্ব পেয়েছেন, তাই তারা যদি দ্বন্দ্ব করেন, তাহলে দুজনেরই ডানা ছাটা হতে পারে। আর সেই দিকটা মাথায় রেখেই এই দুই নেতা এখন একে অপরের হাত ধরে পথ চলার চেষ্টা করবেন। আর যদি তা বাস্তব হয়, তাহলে ইংরেজবাজার তথা মালদহ জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর কতটা প্রকট হবে না বলেই দাবি একাংশের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তাহলে কি এবার দ্বন্দ্ব শেষের মুখে? তারা কি দুজনে একসাথে কাজ করবেন? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, “যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার রাজ্য নেতৃত্ব নিয়েছে। আমি বা অন্য কেউ বড় নই। সবার চেয়ে বড় দল। আমি যেমন স্টিয়ারিং ধরেছি, তেমন কেউ ব্রেক, আবার কেউ ক্লাচ ধরবেন। মূল লক্ষ্য দলের গাড়িটা ঠিকঠাক চালানো।” এদিকে এই ব্যাপারে নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, “আমি বা আমরা নই। সবার উপরে রয়েছে দল। দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শীর্ষ নেতৃত্ব যা দায়িত্ব দেবেন, আমরা সকলে মিলে তা পালন করার চেষ্টা করব। আমাদের সকলের মূল লক্ষ্য বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্য নিশ্চিত করা।” এদিকে সকলে মিলে লড়াই করে দলের সাফল্য আনতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর। একাংশ বলছেন, এতদিন এই মালদহ জেলার সব থেকে বেশি দ্বন্দ্ব লক্ষ্য করা যেত ইংরেজবাজার এলাকায়। যেখানে প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে নীহার রঞ্জন ঘোষের দ্বন্দ্ব কার্যত প্রতিনিয়ত অস্বস্তিতে ফেলত জেলা এবং রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে। তবে এবার এই দুই ব্যক্তিকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে আনার পরে তারা নিজেদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে অন্তত একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হওয়া থেকে বিরত থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -