এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রাক্তন পুলিশ কর্তার তৃণমূলে যোগ! বিস্ফোরক লকেট!

প্রাক্তন পুলিশ কর্তার তৃণমূলে যোগ! বিস্ফোরক লকেট!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বেশ কিছুদিন আগেই চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। আর তারপর থেকেই সেই হুমায়ুন কবীর ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। কেননা কিছুদিন আগেই তার স্ত্রী যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। আর এই পরিস্থিতিতে কালনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সেই হুমায়ুন কবীর।

স্বাভাবিকভাবেই এতদিন এই হুমায়ুনবাবু পুলিশকর্তা থাকার সময় তার বিরুদ্ধে নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেছিল বিরোধীরা। কিন্তু এবার তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় সেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে আরও কড়া ভাষায় আক্রমণ শোনাতে দেখা যাচ্ছে। এবার হুমায়ুন কবীর তৃণমূলে যোগ দেওয়ার সাথে সাথেই তাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।

সূত্রের খবর, এদিন এই প্রসঙ্গে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল। যখন তেলেনিপাড়ায় হিংসার ঘটনা ঘটে, তখন আমি, অর্জুনদা বারবার ঢোকার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু উনি ঢুকতে দেননি। হিংসার ঘটনায় উনি ইন্ধন জুগিয়েছেন। উনি বরাবর তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন। আমরা বারবার বলেছি, প্রশাসনের 50% তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে। নির্বাচন কমিশনে বলেছি, সংসদে বলেছি।আর সেই জন্যই আমরা দাবি করছি, তৃণমূলের হয়ে যারা কাজ করছেন, তাদের যেন নির্বাচনী দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মে মাসে আমরা ক্ষমতায় আসার পর এদের সবার জবাব দেব।”

স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যে এখন ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়েছে। লকেট চট্টোপাধ্যায় এই মন্তব্য করার পর তৃণমূল কংগ্রেস এবং হুমায়ুন কবীর যে যথেষ্ট অস্বস্তির মুখে পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ।কেননা সত্যি সত্যিই এতদিন বিরোধীদের পক্ষ থেকে রাজ্য প্রশাসনের অনেক শীর্ষকর্তা তৃণমূলের কথা মত চলছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। আর এবার নিজের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সাথে সাথেই যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রাক্তন এই আইপিএস, তাতে বিজেপির অভিযোগ সত্য বলেই প্রমাণিত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে বলতে শুরু করেছেন, নির্বাচনের আগে এই ধরনের ঘটনা তৃণমূলের কাছে যোগদান পর্বকে বড় করে দেখানো অপেক্ষা বিরোধীদের হাতে নতুন অস্ত্র হাতে তুলে দিল। এক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে বারবার কমিশনের দ্বারস্থ হয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, রাজ্যের সমস্ত প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা নিরপেক্ষ নন। সেদিক থেকে সদ্য পুলিশ কমিশনার পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই যেভাবে হুমায়ুনবাবু তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন, তাতে এই বিষয়টি তুলে ধরে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের আরও চাপে ফেলে দিতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর এই বিষয়টিকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে জোরদার ঝড় তুলতে পারে তারা। যার ফলে শাসকদল প্রাক্তন এই পুলিশ কর্তাকে নিজেদের দলে আনলেও, তাদের কাছে বিজেপির প্রচার সবথেকে বড় চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!