এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > প্রাক্তন সাংসদের মৃত্যুতে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন মমতা, জোর বিতর্ক!

প্রাক্তন সাংসদের মৃত্যুতে বিজেপিকে তুলোধোনা করলেন মমতা, জোর বিতর্ক!


কোনো ব্যাক্তিকে নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক না কেন, তুমি যদি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন, তাহলে তাকে নিয়ে সমস্ত বির্তকের অবসান ঘটে। কিন্তু নানা রোগভোগের পর প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ তথা বিশিষ্ট অভিনেতা তাপস পাল প্রয়াত হলেও, তাকে নিয়ে বিতর্ক থামতেই চাইছে না কিছুতেই। এখনও পর্যন্ত রয়ে গেছেন তিনি সেই বিতর্কের শিরোনামেই। বস্তুত, চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িত হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন হাজতবাসে কাটাতে হয়েছে তৃণমূলের এই প্রাক্তন সাংসদ। দীর্ঘদিন জেলে থাকার পর রীতিমত সমস্ত জগৎ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন তাপস পাল। অবশেষে গত মঙ্গলবার ভোরে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

এদিকে নিজেদের দলের নেতাকে হারানোর পর বিজেপির নীতির কারণেই তাপস পালকে এভাবে প্রাণ দিতে হল বলে দাবি করতে শুরু করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ। অবশেষে বুধবার রবীন্দ্রসদনে গিয়ে তাপস পালের শায়িত মৃতদেহের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে এই ব্যাপারে বিজেপিকে কাঠগড়ায় তুললেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তাপস পালের মৃত্যু আবার প্রমাণ করল, একটা এজেন্সির অত্যাচারে একটা মানুষ নিজেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছিল। ক্ষতবিক্ষত ছিল। হয়ত মৃত্যুর আগে‌ ও জানল না ওর কি অপরাধ ছিল। তাপসের মত নম্বর ওয়ান ফিল্মস্টারকে জেল খাটতে হয়েছে। তার অপরাধ কি! তাপস একটা বিনোদনের চ্যানেলের ডিরেক্টর ছিল। মাইনে পেয়েছিল। তাই জেলে রাখা হয়েছিল। অকালে চলে গেল। ওর মুখের দিকে তাকাতে পারছি না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে শুধু তাপস পাল নয়, অতীতেও তাদের তৃণমূল পরিবারের দুজনকে কেন্দ্রের নীতির জন্য হারাতে হয়েছে বলেও সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কি খেলা আমি জানি না। অন্যায় করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন। এতদিন জেলের মধ্যে বন্দি করে রাখার কি কৌশল এটা! কেন্দ্রের জঘন্য রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ থেকে কেউ রেহাই পাচ্ছে না আমার চোখে তিনটে মৃত্যু হল। একটা সুলতান আহমেদ। শুনেছিলাম একটা ফোন এল, চিঠি পেল। তারপর মৃত্যু হল। প্রসূনের স্ত্রীও সহ্য করতে না পেরে মারা গেল। আর তাপসের মৃত্যু। আমি খুবই ব্যথিত, মর্মাহত আমি শোকাহত।”

তবে তাপস পালের এই মৃত্যুতে চলচ্চিত্র জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেল বলেও এদিন আক্ষেপ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপস পালের মৃত্যুতেও যেভাবে কেন্দ্রের নীতিকে দায়ী করে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। কেননা যে কারণেই তাপস পালের মৃত্যু হোক না কেন, তা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে মৃত্যুকালেও যেভাবে তাপস পালকে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে দিয়ে পরিচালিত করা হল এবং তার পঞ্চত্বপ্রাপ্তি ঘটল, তা সত্যিই হতবাক করছে বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!