এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রাক্তন সাংসদের স্ত্রী, হেভিওয়েট বর্তমান বিধায়ক এলেনই না সরকারি অনুষ্ঠানে! জল্পনা তৃণমূলে

প্রাক্তন সাংসদের স্ত্রী, হেভিওয়েট বর্তমান বিধায়ক এলেনই না সরকারি অনুষ্ঠানে! জল্পনা তৃণমূলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আবার কি প্রকাশ্যে চলে এলো শাসকদল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব? গতকাল শনিবার হুগলি জেলার শ্রীরামপুরে পথশ্রী প্রকল্পের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন তৃণমূলের বিধায়ক সহ বেশ কিছু হেভিওয়েট। যা থেকেই চারা দিল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জল্পনা। প্রসঙ্গত গত মাসের শেষ সপ্তাহে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যজুড়ে একাধিক বেহাল সড়কের মেরামত ও নতুন সড়ক নির্মাণ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রকল্প। এই প্রকল্পে হুগলি জেলায় প্রায় ৭০০ রাস্তার সংস্কার হবার কথা জানানো হয়েছে।

হুগলি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শ্রীরামপুর মহকুমার বরিজহাটিতে গতকাল শনিবার বিকেলে এই প্রকল্পের সূচনা করা হয়। গতকালের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও, সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিক, মন্ত্রী অসীমা পাত্র, জাঙ্গিপাড়ার বিধায়ক স্নেহাশিস চক্রবর্তী, সভাধিপতি মেহবুব রহমান, সহ-সভাধিপতি সুমনা সরকার, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়, মনোজ চক্রবর্তী প্রমুখরা।

কিন্তু গতকালের এই অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকলেন চণ্ডীতলার বিধায়ক স্বাতী খন্দকার, জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য অনিন্দিতা মণ্ডল, পঞ্চায়েতে সমিতির সভানেত্রী কাবেরী ঘোষ, সহ সভাপতি বিকাশ ঘোষ, বরিজহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান মামণি পাল প্রমূখদেরকে।এছাড়াও চন্ডী ১ ব্লক থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের দুজন তৃনমূল সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের মধ্যেও অনেকে অনুপস্থিত ছিলেন গতকালের এই অনুষ্ঠানে।

গতকালের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিতেরা জানিয়েছেন যে, গত শুক্রবার বিকালে প্রথম ফোন করে তাঁদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু, তার আগে পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান সম্পর্কে তাদের কোনো কিছুই জানানো হয়নি। গত বৃহস্পতিবার জেলা পরিষদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ২ জন সদস্য তাদের অভিযোগের কথা জানিয়ে ছিলেন। এই ঘটনায় যথেষ্ট ক্ষুব্দ তাঁরা। গতকালের অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত চন্ডীতলা জেলা পরিষদ সদস্য অনিন্দিতা মন্ডল জানিয়েছেন, ” জনগণের ভোটে আমি নির্বাচিত। আমার নির্বাচনী ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানের কথা মাত্র এক দিন আগে নমো নমো করে জানানো হবে! খুব খারাপ লাগল। এটা অসম্মানের শামিল।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিধায়ক স্বাতী খন্দকার আগেই জানিয়েছিলেন, ‘‘ আমাকে কেউ কিছু বলেননি। কারা অনুষ্ঠান করছেন, কোথায় করছেন, কিছুই জানি না। শেষ মুহূর্তে জানালেও যাব কিনা, ভেবে দেখব।’’ অনেকে মনে করছেন চন্ডী তলাতে বিধায়ক স্বাতী খন্দকারের সাথে জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুবীর মুখোপাধ্যায়ের গোষ্ঠী বিভাজন তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত স্বাতী খন্দকার শ্রীরামপুরের প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ আকবর আলী খন্দকারের স্ত্রী। অনেকে মনে করছেন তাদের আমন্ত্রণের ব্যাপারে গন্ডগোলের পেছনে সুবীর মুখোপাধ্যায়ের হাত আছে। যদি এ প্রসঙ্গে সুবীর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ” ‘এটা সরকারি অনুষ্ঠান। আমন্ত্রণ করছে প্রশাসন। আমার কাছেও শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত আমন্ত্রণ আসেনি। উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাতে এ নিয়ে অকারণ জলঘোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’

অন্যদিকে তাঁদের এই অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের অতিরিক্ত জেলা শাসক ও পথশ্রী প্রকল্পের নোডাল অফিসার প্রলয় মজুমদার জানিয়েছেন যে, প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক ফোন বা হোয়াটসঅ্যাপ করে প্রতিনিধিদের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। অন্যদিকে গতকাল বিকেলে জঙ্গলপাড়ার একটি অনুষ্ঠানে বিধায়ক স্বাতী খন্দকার ও হুগলি জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবকে একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল।এ প্রসঙ্গে জেলা সভাপতি জানান, ” পথশ্রী-র অনুষ্ঠানে প্রশাসনই আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমাদের দলের কয়েক জন জনপ্রতিনিধি আমার কাছে ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। তবে, এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার বিষয় নয়।’’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!