প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ গ্রেপ্তারের পরই মমতাকে কড়া আক্রমণ মান্নান-সুজনের! তৃণমূল বামফ্রন্ট রাজনীতি রাজ্য January 13, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসছে, ততই দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়াতে শুরু করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। বিজেপি থেকে শুরু করে সিপিএম, কংগ্রেস প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দল একযোগে সারদা থেকে নারদা বিভিন্ন ইস্যুতে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছে। আর এবার প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ কেডি সিং গ্রেপ্তার হওয়ার পরই তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে ময়দানে নেমে পড়ল বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা গেল এই দুই হেভিওয়েট নেতাকে। স্বাভাবিক ভাবেই একদিকে বিজেপির প্রভাব যখন বাড়ছে, তখন বাম এবং কংগ্রেসের এই দুই নেতা যেভাবে দুর্নীতির সাথে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে শুরু করলেন, তাতে অস্বস্তি বাড়তে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবিরের বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সূত্রের খবর, এদিন কেডি সিং গ্রেপ্তারের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী এবং কংগ্রেসের আব্দুল মান্নান। এই প্রসঙ্গে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এই সমস্ত চোর, প্রতারকদের মাথায় রয়েছে তৃণমূল। শুধু গ্রেফতার করলে হবে না। সমস্ত টাকা গরিবদের ফেরত দিতে হবে। একটা ছড়া শুনে রাখুন। সেটা সব জায়গায় শোনা যাচ্ছে, যার মাথায় দিদির হাত, সে খাবে জেলের ভাত। এরপরও কি বলবেন তিনি সততার প্রতীক! মানুষ সব দেখছে, বুঝতে পারছে। অন্য জায়গা থেকে বাংলায় নিয়ে এসে কেডি সিংকে তৃণমূল রাজ্যসভার সাংসদ করেছে। কেন প্রয়োজন হয়েছিল! এর উত্তর বাংলার মানুষ জানতে চায়। প্রতারিতদের টাকা ফেরত দিতে হবে। সেই ব্যাপারে কি পদক্ষেপ হচ্ছে, এটা জানাতে হবে। কোনো কিছু যেন লোক দেখানো না হয়।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে সুজন চক্রবর্তীর পাশাপাশি এই ইস্যুতে তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্য বিধানসভার কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, “দুটি দলের গড়াপেটা চলছে। নির্বাচনের আগে নাটক করা হচ্ছে। লোকদেখানো ভাবে গ্রেফতার করা হচ্ছে। তৃনমূল আর বিজেপির গড়াপেটার নাটক মানুষ ধরে ফেলেছেন। শুধুমাত্র মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এই গড়াপেটার খেলা চলছে।” বিশ্লেষকরা বলছেন, অতীতেও সারদাকাণ্ডে তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতা শ্রীঘরে গিয়েছিলেন। তারপর যতদিন গিয়েছে, ততই তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়তে শুরু করেছে। সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসকদলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিতে বিজেপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন দুর্নীতির কথা তুলে ধরা হচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস যৌথভাবে ময়দানে নেমে যেভাবে কেডি সিং গ্রেপ্তারের পর তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন, তাতে অস্বস্তি বাড়ল শাসক শিবিরের। যেভাবে সুজন চক্রবর্তী এবং আব্দুল মান্নান দুর্নীতির জলে বিদ্ধ তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি করলেন, তাতে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল যে এখন একেবারে পাকে পড়ে যেতে শুরু করেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বিরোধী দলের দুই হেভিওয়েট নেতার এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শাসক দলের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -