এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা তৃণমূল সাংসদের!

প্রাণসংশয়ের আশঙ্কা, তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে মামলা তৃণমূল সাংসদের!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাবা শিশির অধিকারী এবং ভাই শুভেন্দু অধিকারী অনেকদিন আগেই বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে অধিকারী পরিবারের মেজো ছেলে শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে প্রতি মুহূর্তে তৃণমূল কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে দুই ভাই এবং পিতা বিজেপির সঙ্গে যুক্ত হলেও, জার্সি পরিবর্তন করেননি তমলুকের তৃণমূল সাংসদ তথা অধিকারী পরিবারের আর এক সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী। তবে তৃণমূলে থেকেও বিজেপির সঙ্গে যে তার ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা নিজের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তার বাড়িতে ইটবৃষ্টি করার অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে মামলা দায়ের করলেন দিব্যেন্দু অধিকারী। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে মেদিনীপুর জেলা রাজনীতি।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেদিনীপুরের শান্তিকুঞ্জ সকলের কাছেই পরিচিত নাম। এই বাড়িতেই থাকেন অধিকারী পরিবারের সকল সদস্য। বর্তমানে সকলে বিজেপির অত্যন্ত সক্রিয় সদস্য হলেও, একমাত্র এক পরিবারে থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত আছেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তবে সেভাবে খাতায়-কলমে দলবদল না করলেও, তিনি যে তৃণমূলের সঙ্গে খুব একটা ঘনিষ্ঠ নন, তা বোঝাই যাচ্ছে।

আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতা প্রদীপ গায়েনের বিরুদ্ধে তাঁর বাড়িতে ইট ছোড়ার অভিযোগ তুললেন দিব্যেন্দু অধিকারী। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, “আমাদের বাড়িতে শান্তিকুঞ্জে ক্রমাগত ইট মেরেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন। তার উদ্দেশ্য ছিল, আমাকে গুরুতর আহত করা। প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা চালানো হয়েছিল।” স্বভাবতই তৃণমূল সাংসদ যেভাবে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সরব হলেন তাতে ঘাসফুল শিবির যে অত্যন্ত চাপের মুখে পড়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যদিও বা এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সেই প্রদীপ গায়েন। এদিন তিনি বলেন, “দিব্যেন্দু অনেকদিন ধরেই তলে তলে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। পঞ্চায়েত সমিতির অনেক সদস্যকে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। পুলিশের কাছে যে অভিযোগ করেছেন দিব্যেন্দু অধিকারী, সেদিন আমি কাঁথিতেই ছিলাম না।” অর্থাৎ তার বিরুদ্ধে তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করলেও, তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন বলে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেতা প্রদীপ গায়েন। অনেকে বলেছেন, সেভাবে খাতায়-কলমে তৃণমূল কংগ্রেস না ছাড়লেও, দিব্যেন্দু অধিকারী যে বিজেপি ঘনিষ্ঠ হয়ে গিয়েছেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

মাঝেমধ্যেই তার তৃণমূল বিরোধী মন্তব্য দলকে অস্বস্তির মুখে ফেলে দিচ্ছে। আর এই পরিস্থিতিতে অধিকারী পরিবারের ইট ছোড়ার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল সাংসদের পক্ষ থেকে এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা রাজনীতিকে ব্যাপকভাবে সরগরম করে তুলল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!