এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > প্রাপ্যরেশন সহ সরকারি প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগে, প্রবল বিক্ষোভ একাধিক চা-বাগানের বঞ্চিত শ্রমিকদের

প্রাপ্যরেশন সহ সরকারি প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগে, প্রবল বিক্ষোভ একাধিক চা-বাগানের বঞ্চিত শ্রমিকদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রেশন সহ সরকারি প্রকল্পে বঞ্চনার অভিযোগে প্রবল বিক্ষোভ দেখালেন চা শ্রমিকরা। জলপাইগুড়ি জেলার সদর মহকুমার ৮ টি চা বাগানের শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখালেন। সমস্যার সমাধান না হলে বড়োসড়ো আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। জলপাইগুড়ি জেলার সদর মহকুমার ভান্ডারপুর, জয়পুর, শিকারপুর, সরস্বতীপুর, নাগপুর, রায়পুর, ডেঙ্গুয়াঝাড়, করলা ভ্যালি চা বাগানের শ্রমিকরা করলা ভ্যালি চা বাগানে উপস্থিত হয়ে প্রবল বিক্ষোভ দেখালেন।

করলা ভ্যালি চা বাগানে এই বিক্ষোভের সময় স্থানীয় পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যরাও সেখানে উপস্থিত হয়েছিলেন। চা শ্রমিকেরা জানিয়েছেন যে, তালিকায় তাদের নাম ছিল কিন্তু এরপরও চা সুন্দরীর প্রকল্প থেকে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। রেশনে বরাদ্দ ৩৫ কেজি চালও কয়েক মাস ধরে তাদের দেয়া হচ্ছেনা। সমস্যার সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা। তারা প্রশ্ন করেছেন, কেন তাদের চা সুন্দরী প্রকল্প থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে? কি অন্যায় করেছেন? ৩৫ কেজি করে চাল কেন তাদের দেয়া হচ্ছেনা। জেলার সমস্ত চা বাগানের শ্রমিকদের পরিবারকে এই সুবিধা দেয়া হলে, তাদেরকে কেন এই সুবিধা দেয়া হবে না?

এ প্রসঙ্গে করলা ভ্যালি চা-বাগানের তৃণমূল নেতা মহেশ রাউতিয়া জানিয়েছেন যে, রাস্তা জল সহ অন্যান্য সরকারি সুবিধা তারা পাচ্ছেন। কিন্তু ৩৫ কেজি রেশন তারা পাচ্ছেন না। চা সুন্দরীর তালিকায় তাদের নাম নেই। যা কিছু সুযোগ-সুবিধা আছে সব চলে যাচ্ছে ডুয়ার্সে। কিন্তু তারাও গরিব মানুষ। তারা চা শ্রমিক। তারা তাদের জেলা সভাপতি কৃষ্ণদাসের কথা অনুযায়ী আন্দোলনে নেমেছেন। রেশন ছাড়া সকলের খাবার বন্ধ হয়ে যাবে। সবাই সমান ভাগে রেশন পাক। না খেয়ে থাকা যায় না। তাহলে অন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা চান, চা বাগানে প্রশাসনের লোক এসে সমস্যার সমাধান করুন। রেশন নিয়েও যদি দুর্নীতি হয়, তবে কি করে চলবে? তারা পুরো রেশন পাচ্ছেন না, যার উপর তাদের ভরসা করতে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জনৈক চা-শ্রমিক শান্তি ছেত্রী জানিয়েছেন যে, তারা হলেন চা শ্রমিক। তারা সকলেই দরিদ্র। তাই মাসে ৩৫ কেজি করে চাল তাদের পাওয়ার কথা। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ ১২ কেজি, কেউ ২ কেজি করে চাল পাচ্ছেন। যা চলতে পারে না। তিনি জানালেন, এ ওয়াই, বি ওয়াই রেশন কার্ড তারা বোঝেন না। তিনি জানান, আগের মত সকলকে রেশনের দ্বারা বিনামূল্যে ৩৫ কিলো করে খাদ্য সামগ্রী দেয়া হোক। এ বিষয়ে খাদ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এ বিষয়টি তারা জানতে পেরেছেন। কারা রেশন পাচ্ছেন না, তাদের তালিকা এসেছে। তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন। যাতে সকলকে এই সুবিধা দেয়া হয় তার ব্যবস্থা করা হবে দ্রুত।

অন্যদিকে পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রধান হেমব্রম জানিয়েছেন যে, আটটি চা বাগানের শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। এই চা বাগানের শ্রমিকদের রেশন থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার ৮৪ টি চা বাগানের মধ্যে এই ৮ টি চা বাগানের শ্রমিকদের ৩৫ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে না। চা সুন্দরী প্রকল্পের তালিকাতে শ্রমিকদের নাম রাখা হয়নি। তবে এই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে রয়েছে। তিনি সেই পঞ্চায়েতের প্রধান। এই এলাকার বিধানসভা নির্বাচনে তারা ভালোরকম লিড দিয়েছেন। তাদের বিধায়ক আছেন, তাদের সভাধিপতি আছেন, যারা কোন সময় বলছেন না যে, শ্রমিকদের এই সমস্যাগুলি মিটিয়ে দেবেন।

তাই সকলকে নিয়ে তারা আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছেন। প্রথমে তারা জেলাশাসক ও খাদ্য দপ্তরে চিঠি পাঠাবেন। তারপর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠাবেন, যাতে শ্রমিকদের পরিবারগুলিকে সকলের মত সুবিধা দেয়া হয়। এরপরও যদি সমস্যার সমাধান না হয়। তবে তারা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন। প্রসঙ্গত, চা বাগানের শ্রমিকদের সমস্যার সমাধানে সরকারের পক্ষ থেকে চা সুন্দরী প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে যেভাবে বিক্ষোভ দেখালেন চা শ্রমিকরা। তাতে প্রকল্প নিয়েই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শ্রমিকদের অবস্থান-বিক্ষোভে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে চা বাগানের স্বাভাবিক কাজকর্ম।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!